ছোলা বুটের উপকারিতা কি - ছোলা বুটের উপকারিতা
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে ছোলা বুটের উপকারিতা কি এবং অপকারিতা নিয়ে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবেন। আমরা অনেকে জানি না ছোলা বুটের উপকারিতা কি।তাই আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ছোলা বুটের উপকারিতা ও অপকারিতা কি।
ছোলা বুটের উপকারিতা কি |
ছোলা বুট হচ্ছে ডাল জাতীয় একটি শস্য দানাএটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎসব।ছোলা বুটে রয়েছে প্রচুর পরিমানে খাদ্য আঁশ।একই সঙ্গে ছোলা আমিষ,ট্রিপট্যােফান,কপার,ফসফরাস এবং আয়রন।
ছোলা বুটের উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনি চাইলে সকাল বেলা কাঁচা অথবা সিদ্ধ বা তরকারি বানিয়ে খাওয়া যায় ছোলা। রাতে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা তার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। আর আপনি যদি এভাবেই খান তাহলে একসঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক পাবেন।তাই আপনি এটি এভাবে খেতে পারেন ছোলা বুট।
মিসেস ছোলা বুটের উপকারিতা গুলো দেওয়া হল
১) যৌনশক্তি বাড়ায়
ছোলা বুট আপনার যৌন শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনি যদি আপনার যৌন শক্তি বাড়াতে চান তাহলে রাতে ছোলা বুট ভিজিয়ে রাখুন, প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। এতে করে আপনার যৌবন শক্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।আমিষ মানবদেহের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সহয়তা করে।
২) কফ ভালো হয়
গলাতে জমে থাকা পুরানো কফ বা কাশি দূর করতে পারে শুকনা ছোলা ভাঁজা।ছোলা বা বুটের শাক শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারি। ছোলাতে এবং বুটের শাকে অনেক বেশি পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার, আঁশ রয়েছে।আর এই এইডায়াটারি ফাইবার, আঁশ আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্যে করে।কফ ভালো করতে খেতে বুটের ছোলা এবং বুটের শাক।
৩) অস্থির ভাব দূর
ছোলা আপনার শরীরের অস্থির ভাব দূর করতে সাহায্যে করে।ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় যার জন্য শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়ে যায়।তাই আপনার অস্থিরতা দূর করতে খেতে পারেন ছোলা।
৪) খাদ্য নালি ভালো রাখে
ছোলা খাদ্য নালি ভালো রাখে এবং খাদ্য নালিতে জমে থাকা ক্ষতিকর জীবাণু দূর করে।এটি ক্যান্সার হওয়ার আশষ্কা কমায়।বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য অনেক বেশি উপকারি ছোলা।ডায়াবেটিস রোগীরা ছোলা খেতে পারেন।খাদ্য নালি ভালোও রাখতে খেতে পারেন ছোলা।
৫) রক্তের চর্বি কমায়
ছোলা রক্তের চর্বি কমায়। আপনি ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।এটি আপনার চরীরের আমিষ এবং অ্যান্টিবায়োটিক এর চাহিদা পূরণ করবে।ছোলা হচ্ছে ফ্যাটের বেশিভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড।এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেও ক্ষতিকর না বরং রক্তের চর্বি দূর করে।এই ভাবে আপনি খেতে পারেন ছোলা।
৬) স্বাস্থ্যবান বানায়
অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে।আর অন্য দিকে আমিষ মানুষের শরীর স্বাস্থ্যেকে শক্তিশালী করে।ছোলা খাওয়ার পরে, এটি অতি দ্রুত সময়ে হজম হয়ে যায়।যারা ওজন বাড়াতে চান তারা এই ছোলার ছাতু খেতে পারেন।
৭) হৃদপিন্ডের রোগ সারায়
হৃদপিন্ডের রোগ সারায় ছোলা।ছোলা আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল পরিমান কমায়।ছোলাতে রয়েছে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের আঁশ আছে যা হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।তাই আপনি খেতে পারেন ছোলা।
ইতিপূর্বে আজকে আর্টিকেলের মূল তথ্যগুলো আপনারা পেয়ে গেছেন। আশাকরি আজকের আর্টিকেল কি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।