পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ / পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ |
তোমাদের আজকে আর্টিকেলটি হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে।পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাবসম্প্রসারণ।বাংলা দ্বিতীয় পত্র জন্য সবার পরিচিত একটা আইটেমের নাম হচ্ছে ভাব সম্প্রসারণ। আশা করি আজকের ভাব সম্প্রসারণটি সবার উপকারে আসবে।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি অনুবাদ
মূলভাব : মানব জীবনকে সুন্দর ও সার্থক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। পরিশ্রম বয়ে আনে জীবনের সুখ-শান্তি। পরিশ্রম ছাড়া কোন ব্যক্তি তার জীবনের উন্নতি লাভ করতে পারবে না। জীবনে উন্নতির মূল চাবিকাঠি হচ্ছে পরিশ্রম।
ভাব সম্প্রসারণ : মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে বুদ্ধিমত্তা প্রদান করেছেন। পরিশ্রম মানুষকে নিয়ে যায় সুখের সন্ধানে। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কোন কিছু অর্জন করা যায় না। জীবন চলার পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের পরিশ্রম করতে হয়। কেননা পরিশ্রম ছাড়া কোন জাতি উন্নত লাভ করতে পারে না।
এজন্যই কথাই বলে পরিশ্রমে ধন আনে, পূণ্যে আনে সুখ। পরিশ্রম ব্যতীত জীবনের কোন সুখ শান্তি নেই। পরিশ্রম দ্বারা মানুষ পৌঁছে যায় সৌভাগ্যের স্বর্ণ শিখরে। পরিশ্রমী ব্যক্তি আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী হয়।
বিদ্যা, যশ,মান,প্রতিপত্তি ইত্যাদি মানব জীবনের সবকিছুতে রয়েছে পরিশ্রমী ব্যক্তির নিরলস সাধনা। প্রতিটি ব্যক্তি জীবনে ধন-সম্পদের বা ঐশ্বর্যের মূলে রয়েছে পরিশ্রম। সময় মাধ্যমে জীবনের চাকা ঘুরানো সম্ভব। আর এই চাকাটি শ্রম বিমুখ মানুষের কাছে অলৌকিক মনে হবে।
মানব সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা পরিশ্রম করতে চায় না। তারা সমাজের কাছে ঘুরে বেড়াই ভাগ্যে যা আছে তা হবে। ভাগ্য পরিবর্তন করার একমাত্র উপায় হচ্ছে পরিশ্রম। যার মাধ্যমে পেয়ে যাবে তুমি জীবন সুখের চাবিকাঠি। ভাগ্য কে নয় কর্মকে বিশ্বাস করুন। জীবন পরিবর্তন হয়ে যাবে।
পৃথিবীর কাছে যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নতি হবে। ডাক্তার লুৎফর বলেছেন যে জাতির মানুষ শ্রমশীল, যার জ্ঞান সাধনায় আনন্দ অনুভব করে তারাই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করেন।
পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠ মানুষ গণ তাদের নিরলস সাধনা ও শ্রেম করার জন্য আজ তারা জগতে শ্রেষ্ঠ মানুষের কাতারে স্থান পেয়েছে। প্রাণিজগতের ছোট প্রাণি থেকে শুরু করে এবং বৃহত্তম প্রাণি পর্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়। পৃথিবীর কোন জাতি পরিশ্রম ছাড়া তার জীবনের সৌভাগ্যের কোন কিছু বয়ে আনতে পারবে না।
কৃষক রোদ-বৃষ্টির সহ্য করে কঠোর পরিশ্রম করে সোনার ফসল ফলায়। তার জীবনের সুখ শান্তি বয়ে আনার জন্য। কেননা তিনি জানেন পরিশ্রম ছাড়া জীবনের কোন কিছুতে সফল হওয়া যায় না। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পেয়েছে পৃথিবীতে কিছু মানুষ তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি পরিশ্রম করে না সে ব্যক্তির জীবন হবে রাতের মতো অন্ধকার।যে ব্যক্তি পরিশ্রম করেনি সে ব্যক্তি জাতীয় জীবনে কোন আবদান রাখতে পারেনা। অতএব জীবন সংগ্রামের টিকে থাকতে হলে সব সময় পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম ইতিহাস গড়তে সাহায্য করবে। তাই পরিশ্রমকে যথার্থ মূল্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সৌভাগ্যের দুয়ারে।
পৃথিবীর কোন জাতি পরিশ্রম ছাড়া উন্নতি লাভ করতে পারেনি। তাই জীবনের উন্নতি লাভ করতে হলে আপনাকে কঠোর পরিশ্রমি হতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পাওয়া যায় জীবনের সুখ শান্তি। অপরদিকে যারা পরিশ্রম করে না তারা কখনো পাবে না সুখ-শান্তির ঠিকানা।
পরিশ্রম যারা করে না তারা কখনো পাবে না সুখের ঠিকানা। পরিশ্রম বিহীন জাতিগুলোকে সমাজ রাষ্ট্র সবাই ঘৃণার চোখে দেখেন। তারা দেশের জন্য হচ্ছে বোঝা জাতি।
মন্তব্য : পরিশ্রম ছাড়া জীবনের কোন কিছু অর্জন করা যায় না। মানুষের ভাগ্যের চাজা পরিবর্তন করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে পরিশ্রম। মানুষের যাবতীয় সৌভাগ্যের মূলে রয়েছে তার পরিশ্রম। পরিশ্রমই ব্যক্তি হচ্ছে যথার্থ ভাগ্যবান। জীবন উন্নতির মূল চাবিকাঠি হচ্ছে পরিশ্রম। পরিশ্রম ছাড়া জীবনের কোন উন্নতি লাভ করা যায় না।
এছাড়া আমাদের আজকের আর্টিকেল। আজকের ভাব সম্প্রসারণটি সব ক্লাসের জন্য পারফেক্ট। আশা করি সবার উপকারে আসবে ভাব সম্প্রসারণটি।