Type Here to Get Search Results !

ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই

 ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই

ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই
ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই


আমাদের আজকে আর্টিকেলটি হচ্ছে ভাবসম্প্রসারণ কীর্তিমানের মৃত্যু নেই নিয়ে।আজকের ভাব সম্প্রসারণটি সবার কাজে আসবে। 

কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাব : আমি তো মরে যাব রেখে যাবো মানবের মাঝে স্মৃতি। দুনিয়ার প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যু হবে। কেউ আগে কেউ পরে। মৃত্যুর স্বাদ সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। কিছু মানুষ মরে গিয়েও অমর হয়ে আছেন মানুষের হৃদয়ে। 

কর্ম মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে ভাব সম্প্রসারণ

সম্প্রসারিত ভাব : জন্মিলে মরিতে হবে চিরন্তন সত্য। এই পৃথিবীতে কেউ চিরকাল বেঁচে থাকবে না। আজ বা কাল একদিন না একদিন সবাইকে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে হবে। অতএব জীবনের এমন কিছু কীর্তি অর্জন করতে হবে যা মরে গিয়েও যেন মানুষের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকা যায়। 


জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। সংক্ষিপ্ত জীবনে মানুষ এমন কিছু কীর্তি মানবকল্যাণে রেখে যান,তারা মরে গিয়েও মানুষের হৃদয়ের চিরকাল অমর হয়ে থাকেন। 


সাধারণত মানুষের মৃত্যু হলে কেউ আর তাঁকে স্মরণ করো না। কিন্তু যারা এই পৃথিবীতে মহৎ কাজ করে গেছেন অথবা ভালো কীর্তি রেখে গেছেন তারা মরে গিয়েও অমর।দেশ কখনো তাদেরকে ভুলবে না।ইতিহাস তাদেরকে বারবার স্মরণ করবে। 

মানুষ বাঁচে তার কর্মে ভাবসম্প্রসারণ

কীর্তিমান ব্যক্তি কে মৃত্যুর শত বছর পরেও মানুষ তাঁকে স্মরণ করবে। অন  1952 সালের মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে অনেকে শহীদ হয়েছেন রফিক, জব্বর, সালাম, বরকত দেশ, ইতিহাস, যাতে কখনো তাদেরকে ভুলবে না।


বাংলার মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে সব সময় স্মরণ করবে। পৃথিবীর ইতিহাসে যারা মহাকীর্তি রেখে গেছেন তারা চিরকাল মানুষের হৃদয়ে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাদেরকে কেউ কখনো বলতে পারবে না। 


মানুষ বেঁচে থাকে কর্মের মাধ্যমে, বয়সের মাধ্যমে নয়। অনেকে দীর্ঘ বয়সে অমরত্ব লাভ করতে পারে না। আবার কেউ কেউ অল্প বয়সে অমরত্ব লাভ করেন। কেমন বাংলা ভাষা আদায়ের জন্য সেদিন রাজপথে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন রফিক জব্বর সালাম বরকত ইত্যাদি, তারা অল্প বয়সে অমরত্ব লাভ করেছেন। কর্ম তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে বয়সে নয়। 

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে বয়সের মধ্যে নয় 

আবার অনেকে দীর্ঘ বয়সেও অমরত্ব লাভ করতে পারে না। এই দুনিয়ার মাঝে ভালো মহৎ কর্ম করে গেলে মৃত্যুর পর মানুষ চির অমর হয়ে থাকে। 


অপরদিকে যারা এই দুনিয়াতে ভালো মহৎ কোন কীর্তি রেখে যেতে পারেনি মৃত্যুর পরপরই তাদের বংশ পরিচয় মিশে গেছে কালস্রোতে। কেউ তাদেরকে স্মরণ করে না। 


অতএব জীবনের এমন কিছু কর্ম করে যেতে হবে যাতে মানুষ মৃত্যুর পরে আমাকে আপনাকে স্মরণ করেন। না হয় একটু পরপরই আমাকে আপনাকে কেউ স্মরণ করবে না। একেবারে মানুষের পরিচয় বিলীন হয়ে যাবে কালস্রোতে। 


মন্তব্য : কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। তাদের দেহের মৃত্যু হলেও কর্মের কোন মৃত্যু হয়না। দেশ তাকে শাসন করবে, ইতিহাস থাকে স্মরণ করবে। মানুষ তাদের অবদানের কথা স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করব। অতএব আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। মানুষ বাঁচে কর্মের মাধ্যমে বয়সের মাধ্যমে নয়। 


এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। আজকের আর্টিকেলটি সব ক্লাসের জন্য পারফেক্ট।আশা করি আজকের ভাব সম্প্রসারণটি সবার উপকারে আসবে। 

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies