Ads2

গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ / ভাবসম্প্রসারণ গ্রন্থগত বিদ্যা

 গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ / ভাবসম্প্রসারণ গ্রন্থগত বিদ্যা

গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ
গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ


আমাদের আজকের আর্টিকেল হচ্ছে গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণ নিয়ে।আশা করি আজকের ভাব সম্প্রসারণটি সবার কাজে আসবে। 

গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন হলে প্রয়োজন

মন্তব্য : হস্তগত বিদ্যা আত্মস্থ না করে জ্ঞানী ভাবা অপর হাতে ধন রেখে  আর সেই ধন কে নিজের বলে জাহির একাবারে অর্থহীন। কারণ সেই ধন আর জ্ঞান নিজের জীবনের প্রয়োজনে কোনো কাজে আসে না।


সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যা এবং ধন মানুষের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানব জীবনের জন্য বিদ্যা এবং ধন ব্যাপক পরিমাণে দরকার। বিদ্যা ও ধন সাধনালব্ধ ফল।কিন্তু বিদ্যা গ্রন্থাশ্রয়ী এবং ধন পরিশ্রমলন্ধ,জীবনের প্রয়োজনে সীমাবদ্ধ। 


বিদ্যার প্রয়োজন হচ্ছে একটা মানুষকে সুশিক্ষিত করার জন্য আর জ্ঞানের ভান্ডার হচ্ছে বই-পুস্তক। আরে পুস্তক থেকে ব্যক্তি শিক্ষা অর্জন করে হতে পারে আত্মনির্ভরশীল, সহ্যমী ও আদর্শবান। মানব জীবনের জন্য শিক্ষা অর্জন করা একান্ত অপরিহার্য। 


বিদ্যাকে গ্রন্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ বলে মনে না করা বিদ্যা চর্চার মাধ্যমে আমাদের সকলের আত্মমুক্তির পথ খুঁজতে হবে। বিদ্যা অর্জন করে বিশ্বজোড়া খ্যাতি লাভ কিংবা পন্ডিত হিসেবে পরিচিত লাভের মধ্যে বিদ্বানের কোন সার্থকতা নেই।


অর্জন করা বিদ্যার মাধ্যমে নিজের বিবেক বুদ্ধি কে জাগ্রত করার পাশাপাশি সমাজ, দেশকে উন্নতির কাজে বিদ্যাকে ব্যবহার করলে বিদ্যা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়।


তদ্রুপ অর্জিত ধন নিজের কাছে না রেখে অন্যের কাছে রেখে সে ধনের মালিকানা নিজের বলে জাহির করা যায় না। কারণ নিজের ধন অন্যের কাছে রাখা নিজের প্রয়োজনে সে ধন সেসময়ে কাজে নাও আসতে পারে। 


তাই মানব জীবনকে সুন্দর ও সার্থক হিসাবে গড়ে তুলার জন্য বিদ্যাকে বুদ্ধির মাধ্যমে আত্মস্থ করে বাস্তবে প্রয়োগ করা এবং অর্জিত সম্পদ অহেতুক গচ্ছিত না রেখে প্রয়োজনে ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে অর্জিত বিদ্যা বা ধন প্রকৃত সার্থকতা লাভ করে।


মানব জীবনে গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরের হাতে থাকা ধন কোন মূল্য নেই। অতএব আমাদের সকলের উচিত বিদ্যা অর্জন করে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করা। অপরদিকে ধন অন্যের হাতে গচ্ছিত না রেখে ধনকে কাজে লাগিয়ে জীবনকে আরো বেশি সার্থক ও সুন্দর করতে হবে। 


বিদ্যা ও ধন মানব জীবনের জন্য মহামূল্যবান জিনিস। এদুটি অর্জন করার জন্য মানুষকে অনেক বেশি সাধনা করতে হয়। মানব জীবনে এ দুটিকে কাজে লাগাতে না পারলে জীবনের কোন সার্থকতা খুঁজে পাওয়া যাবে না। 


এদুটি অর্জন করে আমাদেরকে সঠিক সময় সঠিক জায়গাতে কাজে লাগিয়ে দিতে হবে। তাহলে আমাদের জীবন হবে সুন্দর ও সার্থক। বিদ্যা অর্জন করে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য কাজ করে যেতে হবে তাহলে বিদ্যা অর্জনের প্রকৃত রূপ খোঁজে পাওয়া যাবে। 


মন্তব্য : মানবজীবনকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে দাবী করতে হলে অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করতে হবে। জ্ঞান অর্জন ছাড়া যেমন মনুষ্যত্বের বিকাশ সম্ভব নয়, এমনিভাবে অন্যের হাতে ধন সম্পদ কুক্ষিগত নিজের জীবনের কোন উপকারে আসে না। 


আমাদের আজকের গ্রন্থগত বিদ্যা ভাব সম্প্রসারণটি সব ক্লাসের জন্য পারফেক্ট। আশা করি আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের পরীক্ষাতে এই ভাব সম্প্রসারণটি কাজ আসবে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Ads3