Type Here to Get Search Results !

কিচমিচ এর উপকারিতা - কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা

 কিচমিচ এর উপকারিতা - কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা


আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে কিচমিচ এর উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে। কিচমিচ হল আমাদের দৈনিক জীবনের একটি খাবার।এটি আমরা বিভিন্ন রকমের খাবারের সাথে ব্যবহার করে থাকি। 

কিসমিস এর উপকারিতা
কিসমিস এর উপকারিতা


কিসমিসের উপকারিতা অনেক। কিচমিচ শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। কিচমিচ আমাদের শরীরের রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। 


কিসমিসের ভেজানো পানি আমাদের শরীরে রক্ত পরিষ্কার করতে সহায়তা করা। প্রতিদিন নিয়ম করে কিসমিসের পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিসি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন অতি সহজে ওষুধ ছাড়াই। 


কিসমিস খাওয়ার পরে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে আপনার কোলেস্টেরল। এছাড়াও কিসমিস আমাদের শরীরের হৃদয় ভালো রাখে।


কিসমিসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ।আর রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা সহজে রোগ মুক্তির কারণ। কিসমিসে রয়েছে আরও আয়রন,পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এখন ফাইবার। এসব উপাদান গুলো রয়েছে কিসমিসে। আর এসব উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। কিসমিস খাওয়ার মাধ্যমে এসব উপাদান আমাদের শরীরে শক্তি যোগাবে। 

কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

নিচে কিসমিসের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো। কিসমিস খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায়টি হচ্ছে সারারাত কিসমিস কে পানিতে ভিজিয়ে রাখা। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু কিসমিস কে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। ভিজিয়ে রাখা কিসমিস গুলোকে পরের দিন সকালে সেটা খান।আর ভেজানো কিসমিসে থাকেন আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। আপনার শরীরে ব্লাড প্রেসারের সমস্যাটি থাকলে এটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ভেজানো কিসমিস ব্লাড প্রেসার এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 


কিসমিসের উপকারিতা 

কিসমিসের উপকারিতা ও অপকারিতা 

ব্লাড প্রেসার 

আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে কিসমিস। কিসমিসের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম হাই ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।তাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য কিসমিস খেতে পারেন। 


রক্তস্বল্পতা কমায় 

কিসমিস রক্তস্বল্পতা কমাতে অনেক বেশি কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত কিসমিস খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন আমাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রা বাড়ায়। এছাড়াও কিসমিস এর মধ্যে রয়েছে তামা যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তেরি করতে সহায়তা করে। তাই এটির  জন্য কিসমিস খেতে পারেন। 


হজম শক্তি বৃদ্ধি করে 

আমাদের সুস্থ থাকার জন্য হজম শক্তি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিসমিসে থাকা উপাদান আমাদের শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। প্রতিদিন আপনি ঘুমানো যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে পানিতে ভেজানো কিসমিস গুলো খান। এতে করে দেখবেন আপনার হজম শক্তি অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। 


প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে কিছু কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। তারপরে ঘুম থেকে উঠে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস গুলো এবং পানি পান করুন নিয়মিত। কিসমিসে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোগের সাথে লড়াই করে এবং আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 


বিষমুক্ত শরীর

শরীরের দূষণমুক্ত অথবা বিষমুক্ত করতে চাইলে নিয়মিত কিসমিস খান।চারদিকের দুষণে আপনি যখন কিছুটা অসুস্থ অনুভব করবেন তখনই পানিতে ভেজানো কিসমিস সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। আর কিসমিস ভেজানোর পাশাপাশি পানি টা ও পান করতে পারেন।কিসমিস ভিজিয়ে রাখা পানি টা ও অনেক বেশি উপকারী শরীরের জন্য। 


কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় 

নিয়মিত করে প্রতিদিন কিসমিস খেলে আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনার যদি কোন সমস্যা থাকে। তাহলে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে কিছু কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস গুলো খান। যারা বেশি কোষ্ঠকাঠিন্য অনুভব করেন তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত দেখতে পারেন। 


কিসমিসের অপকারিতা নিয়ে নিচের বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। 

কিসমিসের অপকারিতা 

কিসমিস এলার্জি সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই যাদের এলার্জি রয়েছে তারা কিসমিসকে এড়িয়ে চলুন। এতে করে আপনার জন্যই অনেক বেশি উপকার হবে। 


যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাবেন না। কেননা কিসমিস ডায়াবেটিস আরও বাড়িয়ে দেয়। যাদের ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রয়েছে তারা অল্প পরিমাণে কিসমিস খেতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস কন্ট্রোল নেই অথবা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে তারা কিসমিস কে এড়িয়ে চলুন। কেননা কিসমিস খাওয়া তো আপনার ডায়াবেটিস আরো বেড়ে যাবে। তাই কিসমিস না খেয়ে কিসমিস কে এড়িয়ে চলুন। 


যারা শরীরের ওজন কমাতে চান তারা অতিরিক্ত পরিমাণে কিসমিস খাবেন না। কেননা কিসমিস বেশি খাওয়াতে আপনার শরীরের ওজন আরো বেড়ে যাবে। 


কিসমিস আমাদের শরীরে খাবার হজমে বিঘ্ন ঘটায় তাই আপনারা অতিরিক্ত কিসমিস খাওয়া থেকে সব সময় বিরত থাকবেন। 


কিসমিসের পুষ্টিগুণ

কিসমিসে রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিগুণ। পুষ্টিগুণ গুলো হচ্ছে - এলার্জি, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ফ্যাট,প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন,পটাশিয়াম, সোডিয়াম এগুলো হচ্ছে কিসমিসের পুষ্টিগুণ অথবা কিসমিসের ভিটামিন। 


আমাদের শেষ কথা

এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।ইতিপূর্বে আপনারা জেনে গেছেন কিসমিসের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। 

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies