Ads2

কালোজিরার উপকারিতা / কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম / কালো জিরার উপকার

 কালোজিরার উপকারিতা / কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম / কালো জিরার উপকার


আমাদের আজকের লিখাটি হচ্ছে কালোজিরার উপকারিতা নিয়ে। আমরা অনেকে হয়তো জানি না কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা কি। এ কালোজিরাতে রয়েছে ওষুধি গুনাগুন। কালোজিরা অনেক রোগ দূর করার ওষুধ। 

কালোজিরার উপকারিতা
কালোজিরার উপকারিতা


নিচে কালোজিরার অনেকগুলো গুণাগুণ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো 

কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা 


১) স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি :

এক চামচ পুদিনা পাতার রস বা এক চামচ কমলার রস বা এক কাপ রং চায়ের সাথে কালোজিরা তেল মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি দিনে তিনবার করেও খাওয়া যাবে। যা দুশ্চিন্তা দূর করবেন। এছাড়াও মেধা শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কালোজিরা খাওয়া অনেক উপকারী। কালোজিরে তে আছে অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে এবং মেধা শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে কালোজিরা। 

কালোজিরার তেল উপকারিতা

২) মাথা ব্যাথা নিরাময়ে :

কালোজিরা মাথা ব্যাথা নিরাময় করে। কালোজিরার তেল মাথাব্যথা করার সময় মাথাতে ব্যবহার করলে মাথা ব্যাথা চলে যায়। কালোজিরার সাথে সমপরিমাণ মধু দিয়ে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি আপনি দিনে দুই-তিনবার করে খেতে পারেন। 

কালোজিরা তেলের উপকারিতা

৩) সর্দি সারাতে :

কালোজিরা মাধ্যমে সর্দি সারাতে পারা যায় খুব সহজে। তাই সর্দি সরাতে কালোজিরা ব্যবহার করুন। এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে, এক চামচ মধু মিশিয়ে এবং রং চা এর সাথে খেতে পারেন। এটি দৈনিক দুই-তিনবার করে খেতে পারেন। এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়।


৪) বাতের ব্যাথা দূরীকরণে:

কালোজিরা দূর করতে পারে বাতের ব্যথা।প্রথমে ব্যথা করা আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে পরিষ্কার করে  এবং মালিশ করে নিন। এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে ২/৩ সপ্তাহ সেবন করা যাবে।বাতের ব্যথা সারাতে কালোজিরা এই উপকরণ টি ব্যবহার করুন। 


৫) হার্টের সমস্যায় কালোজিরা 

কালোজিরা মাধ্যমে হার্টের সমস্যা দূর করা যায়।এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।এভাবে করোও বিভিন্ন রকমের হার্ট এর সমস্যা কালোজিরার মাধ্যমে দূর করা যায়। 


৬) বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ 

বিভিন্ন রকমের চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কালোজিরার ব্যবহার করার মাধ্যমে। আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশকরে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে২/৩ সপ্তাহ সেব্য।


৭) ব্লাড প্রেসারনিয়ন্ত্রনে রাখতে

সকালে খালি পেটে দুইটি রসুনের কুয়া চিবিয়ে খেয়ে এবং পুরো শরীরে কালোজিরার তেল মাখিয়ে কমপক্ষে সূর্যতাপে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে। কালোজিরা তেলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।তাই আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পদ্ধতিতেই অনুসরণ করুন। 


৮) অর্শ রোগ ভালো করে

অর্শ রোগ দূর করার জন্য কালোজিরা অনেক উপকারি হিসাবে কাজ করেন।এক চামচ মাখন এর সাথে পরিমান তেল চুরন/তিলের তেল এবং এক চামচ কালোজিরার তেল খালি পেটে গেলে এটার অনেক উপকার পাওয়া যায়।অর্শ রোগরি দূর করার জন্য আপনি এই নিয়মে তৈরি করে তিন চার সপ্তাহে খেতে পারেন।


৯) হাঁপানি রোগ ও শ্বাসকষ্ট দূর করে

শ্বাসকষ্ট হাঁপানি রোগের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কালোজিরা। যাদের হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখতে পারেন। এছাড়াও হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক কাপ দুধ বা রং চা এর সাথে  প্রতিদিন দুই-তিনবার করে খেতে পারেন। হাঁপানি রোগ এবং শ্বাসকষ্ট দূর করার সেরা একটি মাধ্যম হচ্ছে কালোজিরা। 


১০) নিয়ন্ত্রণের ডায়াবেটিস 

ডায়াবেটিস রোগের জন্য সেরা ওষুধ হিসেবে কাজ করে কালোজিরা। প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে এক চিমটি কালোজিরা খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায় এতে করে রক্ত গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।এছাড়াও এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক কাপ রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন প্রতিদিন দুইবার করে।যার ফলে আপনার ডায়াবেটিস একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। 


১১) ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে 

ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে বেশ কার্যকারী হচ্ছে কালোজিরা। কালোজিরা তো রয়েছে লিনোলেইক ও লিনোলেনিক নামের এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড থাকে যা পরিবেশের প্রখরতা, স্ট্রেস থেকে আমাদের ত্বককে রক্ষা করে এবং ত্বক সুন্দর রাখে।


 তাই ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কালোজিরা বেশ উপকারী। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে গায়ে আধাঘন্টা একঘন্টা রাখুন।এরপরে ধুয়ে ফেলুন। তারপর দেখবেন আপনার ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বলতা হয়ে গেছে। আপনার মুখে যদি বরণ থাকে তাহলে দূর করতে পারবেন কালোজিরার মাধ্যমে। আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে গায়ে থাকা বরণের জায়গায় দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। কিভাবে নিয়মিত করলে গায়ে থাকা ব্রণ একেবারে দূর হয়ে যাবে। 


অপরদিকে আপনার ত্বক যদি শুষ্ক থাকে তাহলে আপনি শুষ্ক ত্বক কিভাবে দূর করব? কালোজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগান। দেখবেন আপনার শুষ্ক ত্বক চলে গিয়ে ঝকঝকে ত্বক দেখা দেবে। 


১২) জৈব শক্তি বাড়ায় 

যারা যৌন শক্তি বাড়াতে চান তারা কালোজিরা খেতে পারেন। কালোজিরা নারী ও পুরুষের উভয়ের যৌন শক্তি বাড়ায়। এক চামচ মাখন, এক চামচ জাইতুন তেল, সমপরিমাণ কালোজিরার তেল ও মধু সহ প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। এতে করে আপনার হারানো যৌন শক্তি আবার ফিরে আসবে।যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার এটি একটি সেরা মাধ্যম। আপনি চাইলে এ মধ্যম অবলম্বন করে আপনার যৌন শক্তি আরো শক্তিশালী করতে পারেন। তবে কিন্তু মনে রাখবেন পুরানো কালোজিরার তেল আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 


১৩) দুগ্ধ দান কারিনীমা,দুধ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে 

যেসব মেয়েদের বোকা পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ থাকে না তাদের জন্য কার্যকারী হচ্ছে একমাত্র কালোজিরা। তাই বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন ঘুমানোর আগে আজ থেকে পাঁচ থেকে দশ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সাথে খেতে থাকুন। দেখবেন মাত্র 10 - 15 দিনের ভিতরে আপনার বুকের দুধ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি প্রতিদিন ভাত খাওয়ার সাথে কালোজিরা ভর্তা বানিয়ে ভাতের সাথে খেতে পারেন। এছাড়াও কালোজিরার তেলের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুই-তিনবার করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 


১৪) প্রমেহ রোগ এবং অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে 

যাদের অনিয়মিত মাসিক হয় তাদের জন্য বেশ উপকারী হচ্ছে কালোজিরা। তাই অনিয়মিত মাসিক দূর করতে এক কাপ কাঁচা হলুদের সাথে পরিমাণমতো আতপ চাল ধোয়া পানির সাথে এক কাপ চা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার করে খেতে পারেন। এতে করে দেখবেন অতি সহজে আপনার মাসিকের ক্ষেত্রে খুব বেশি কার্যকারী ভূমিকা পালন করছে। 


১৫) আমাশয় ও গ্যাস্ট্রিক এর ক্ষেত্রে 

গ্যাস্ট্রিক ও আমাশয় দূর করার কার্যকরী একটি উপাদান হচ্ছে কালোজিরা। কালোজিরা মাধ্যমে আমাশয় গ্যাস্ট্রিক অনেক সহজে কমে যায়। এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে খেতে পারেন প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার। আর এটি খুব কার্যকরী হিসেবে কাজ করবে। 


১৬) লিভার বা জন্ডিসের ক্ষেত্রে 

কালোজিরা জন্ডিস ও লিভারের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। এক গ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। এতে করে আপনার লিভার ভালো থাকবে জন্ডিসের সমস্যা দূর হবে। 


১৭) পিটে ব্যথা ও রিউমেটিক এর ক্ষেত্রে 

পেটের ব্যথার জন্য কালোজিরা খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কালোজিরার তেল দীর্ঘদিন যাবত পিঠের ব্যথা ও রিউমেটিক এর জন্য অনেক বেশি কার্যকারী। এছাড়াও কালোজিরা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। 


১৮) মানসিক বৃদ্ধি ও শিশুর দৈহিক এর ক্ষেত্রে 

শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করার জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে কালোজিরা। 2 বছরের অধিক বয়সের শিশুদেরকে কালোজিরা খাওয়ালে শিশু দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি পাবে। শিশুর মস্তিষ্কে জ্ঞানের প্রখরতা বৃদ্ধি করে কালোজিরা। তাই শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য তাকে খাওয়াতে পারেন কালো জিরা। 2 বছরের কম শিশুদের কালোজিরার তেল খাওয়ানো উচিত নয়। তবে কালোজিরার তেল তাদের গায়ে মাখতে পারেন। এতে করে কোন সমস্যা হবে না। 


১৯) মাথাব্যথার ক্ষেত্রে 

মাথা ব্যাথা দূর করার জন্য কালোজিরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হিসেবে কাজ করে। মাথা ব্যাথা করার সময় মাথা ব্যাথাতে কালোজিরার তেল দিয়ে মালিশ করলে মাথা ব্যাথা দূর হয়ে যাবে। মাথাব্যথার দূর করার এটি একটি সেরা মাধ্যম। 


২০) স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে 

আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে কালোজিরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কালোজিরার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে প্রতিদিন আমাদের ঠিক থাকবে এবং আমাদের শরীরে অন্য কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারবে না। অনেক মহামারী রোগ থেকে আমরা রক্ষা পাবো। 


২১) হজমের সমস্যার ক্ষেত্রে 

হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য এবং ঠিক রাখার জন্য কালোজিরা অনেক উপকার হিসাবে কাজ করেন।যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা দুই এক চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে থাকুন। প্রতিদিন এভাবে দুই-তিনবার খেলে হজম সমস্যা দূর হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে। এর ফলে পেট ফাঁপা বাপ ও দূর হবে। 


২২) লিভারের সুরক্ষায় ক্ষেত্রে 

লিভার সুরক্ষায় রাখতে পারে কালোজিরা। আমাদের শরীরের লিভার ও ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন বিষ যা ধ্বংস করে কালোজিরা। তাই লিভার সুরক্ষা রাখতে হলে আপনাকে কালোজিরা খেতে হবে। 


২৩) চুল পড়া বন্ধ ক্ষেত্রে 

আমাদের চুল পড়া বন্ধ করবে কালোজিরা। কালোজিরা খান এতে করে চুল পুষ্টি পাবে। যার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। চুলের গোড়ায় তেল মালিশ করতে পারেন।এতে করে চুল আরো বেশি পরিমাণে পুষ্টি পাবে। 


২৪) দাঁত ব্যথার ক্ষেত্রে 

দাঁত ব্যথা দূর করার জন্য কালোজিরা খুবই উপকারি।যখন দাঁতের ব্যাথা শুরু হয়ে যাবে তখন কুসুম পানি গরম করে পানির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে কুলি করলে দাঁতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া গুলো বের হয়ে যাবে এতে করে দূর হয়ে যাবে দাঁতের ব্যথা। 


২৫) ঘুমের ক্ষেত্রে 

শান্তিপূর্ণ ঘুম হয় কালোজিরার মাধ্যমে। কালোজিরার তেল শরীরে মালিশ করলে অনেক শান্তিপূর্ণ ঘুম হয়। তাই আপনার শান্তিপূর্ণ ঘুমের জন্য কালোজিরার তেল খেতে পারেন এবং শরীরে মালিশ করতে পারেন। 


২৬) কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 

আমাদের শরীরে কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। শরীরের অঙ্গ পতঙ্গ ঠিক রাখার জন্য প্রতিদিন খেতে পারেন কালোজিরা। তাই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এক চামচ কালোজিরা অথবা কয়েক ফোঁটা কালোজিরার তেল এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আমার এই নিয়মে প্রতিদিন খেলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। 


২৭) পারকিনসন্স রোগে প্রতিকারে 

কালোজিরায় রয়েছে থাইমোকুইনিন যা পারকিনসন্স ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তদের দেহে উৎপন্ন টক্সিনের প্রভাব থেকে নিউরনের সুরক্ষায় কাজ করে। তাই এ রোগ থেকে বাঁচার জন্য খেতে পারেন কালোজিরা। 


২৮) চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে 

কালোজিরার তেল মাথায় দিলে চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। যাদের চুল পড়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে তারা কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন।কারণ কালোজিরার তেল চুল পড়া বন্ধ করে। 


২৯) ব্লাডার ও কিডনি পাথর 

কালোজিরা গুঁড়ো করে মধুর সাথে মিশিয়ে দুই চামচ মিশ্রণ আধাকাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধাকাপ কালোজিরার তেল সহ পান করতে পারেন।এই পদ্ধতি ব্লাডার ও কিডনি পাথরের জন্য খুবই উপকারী। 


৩০) চোখের ব্যথার ক্ষেত্রে 

চোখের ব্যথার দূর করতে কার্যকারী হিসেবে কাজ করে কালোজিরা। যখন আপনার চোখে ব্যথা করবে চোখের আশেপাশে কালোজিরার তেল দিয়ে মালিশ করতে পারে। এছাড়াও আপনি আরো উপকার পেতে হলে এক কাপ গাজরের রসের সাথে এক চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খেতে পারেন। 


৩১) উচ্চ রক্তচাপ 

যখন কোন গরম পানি বা চা পান করবেন তার সাথে খেতে পারেন কালো জিরা। গরম খাদ্য খাওয়ার সময় অথবা গরম ভাত খাওয়ার সময়  কালোজিরা ভর্তা বানিয়ে গরম ভাতের সাথে খাবেন। এতে করে আপনার রক্তচাপ ঠিক থাকবে। 


৩২) ডায়রিয়া 

ডায়রিয়া রোগীদের জন্য কালোজিরা খুবই ভালো। মুখে খাবার ও স্যালাইন এর পাশাপাশি এক কাপ দই ও এক চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি দিনে আপনি দুই তিনবার খেতে পারেন। এতে করে ডায়রিয়ার প্রবণতা কমে যাবে। 


৩৩) জ্বরের ক্ষেত্রে 

জ্বরের ক্ষেত্রে কালোজিরা খুবই ভালো কাজ করে থাকেন। জ্বরের সময়ে সকাল সন্ধ্যা লেবুর রসের সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল এবং নিস্যি পান করুন। এতে করে দ্রুত জ্বর কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 


৩৪) স্নায়ুবিক উত্তেজনা 

আপনি কফির সাথে কালোজিরা খেতে পারেন। কফির সাথে কালোজিরার সেবনে দুরীভুত হয়।


৩৫) উরুসদ্ধি প্রবাহ 

সর্বপ্রথম স্থানটি সুন্দর করে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। এরপর আক্রান্ত স্থানটিতে কালোজিরার তেল লাগিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আক্রান্ত স্থানটি অনেকটা ভালোর দিকে। 


৩৬) আঁচিল

হেলেঞ্চা দিয়ে ভালো করে ঘষে কালোজিরার তেল লাগান। হেলেঞ্চা মুল আরক মিশিয়ে নিলেও হবে। এর সাথে খেতে নিন হোমিও ঔষধ। 


কালোজিরার অপকারিতা

কালোজিরার খারাপ দিক রয়েছে এমন কোন দিক এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। তবে কিন্তু একসাথে বেশি কালোজিরা খাওয়া যাবে না। আপনি যদি একসাথে বেশি করে কালোজিরা খান তাহলে পিত্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের আবার কালোজিরায় এলার্জি রয়েছে তারা এটি থেকে বিরত থাকা ভালো।


কালোজিরার ক্ষতিকর দিক


 কালোজিরা গর্ভবতী মায়ের জন্য খারাপ। গর্ভবতী অবস্থায় কালোজিরা খাওয়াবেন না। 2 বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে কখনো কালোজিরা খাওয়াবেন না। এতে করে শিশুর সমস্যা হতে পারে। গর্ভবতী মা ও দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের কালোজিরার তেল শরীরে মালিশ করা যেতে পারে। কিন্তু কখনো কালোজিরা বা কালোজিরার তেল খাওয়ানো যাবে না। 


রসুন ও কালোজিরার উপকারিতা


রসুন ও কালোজিরা খেলে শরীর অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে রসুন ও কালোজিরা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শরীরের ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিদিন দুই কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে সারা শরীরে কালোজিরা তেল মালিশ করে আধাঘন্টা রোদে থাকুন। এতে করে আপনার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 


অন্যদিকে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে এক চামচ কালোজিরা তেলের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। কালোজিরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহা ঔষধ। কেননা কালোজিরা রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দেয়। 


প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়


কালোজিরা হচ্ছে প্রতিটা মানুষের জন্য মহামূল্যবান একটি ওষুধ বলা যায়। এটি মানুষের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন কালোজিরা খান তাহলে কোন ক্ষতি হবে না। আপনি যদি কালোজিরা অতিরিক্ত বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার পেট ব্যাথা বা বদহজম হতে পারে। আর এমনিতে আমরা সকলে জানি অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক না। সবকিছু খাওয়ার একটা নিয়ম রয়েছে। 


সাধারণত কালো বীজ আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। যখন সেটা পরিমাণমতো খাওয়া হয়। এখন মূল কথা হচ্ছে গর্ভবতী মা বা বুকের দুধ খাওয়ানো মহিলাদের জন্য বা যারা নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য সুপারিশ করা যায় না। 


কালোজিরা সকালে খালি পেটে খেলে কি হয়?


আমরা অনেকেই জানিনা কালোজিরা সকালে খালি পেটে খেলে কি হয়। তবে কালা বীজ খাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে খালি পেটে। যা আমরা হয়তো অনেকে জানিনা। আর এটি খালি পেটে খাওয়ার ফলে পুষ্টির শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে আমাদের শরীরকে আর দক্ষতার সাথে পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে। এটি আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। 


সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং হজমের উন্নতি ঘটায়। কারণ এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন কে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। খালি পেটে কালোজিরা খাওয়ার প্রদাহ কমাতে সহায়তা করতে পারে, কারণ কালোজিরা তে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। আপনি নিঃসন্দেহে সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কালোজিরা খেলে আপনার কোনরকম ক্ষতি হবে না। 


কালোজিরা কি কি ভিটামিন আছে?


প্রাচীনকাল থেকে মানুষ কালো জিরা রোগের মা ওষুধ বলে মনে করে এসেছে। কালোজিরা কে বলা হয় নানা রকমের রোগের ওষুধ। অনেকের অজানা কালোজিরা তে কি কি ভিটামিন রয়েছে। কালোজিরা তে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন বি, নিয়াসিন,ক্যালসিয়াম, আয়রণ, ফসফরাস, কপার,জিংক ও ফোলাসিন।


কালোজিরা তো আরো রয়েছে নাইজেলোম,থাইমোকিনোন,লিনোলিক অ্যাসিড,ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রণ,জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফেট,সেলেনিয়াম,ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি২,নায়াসিন,ভিটামিন সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট।যেহেতু কালোজিরা শরীর স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী সেহেতু আমাদেরকে নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে নানা রকম রোগ ভাষা বাঁধতে পারে না। 


আমাদের শেষ কথা

ইতিপূর্বে আপনারা জেনে গেছেন কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে।কালোজিরা হচ্ছে সব রোগের ওষুধ। প্রাচীনকাল থেকে মানুষ কালোজিরা ব্যবহার করে আসছে। 


চিকিৎসক বিজ্ঞানীরা বলেছেন কালোজিরা মহা রোগের ওষুধ। নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরের নানা রকমের রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে। কেননা কালোজিরা অনেকটা শরীর স্বাস্থ্যের ঠিক রাখতে সাহায্য করে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের সকলের উপকার আসবে। 












Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

Ads3