বাদাম এর উপকারিতা - বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা - বাদামের গুন
আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে বাদামের অপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে।আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাদামে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর।
বাদাম এর উপকারিতা |
বাদাম আমরা অনেকে খেতে চায় না। যারা বাদাম খেতে চায় না আজকের আর্টিকেলটি পড়লে তারাও ও বাদাম খেতে চাইবে।কেননা বাদাম আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। যে খাবারটি আমাদের শরীরের শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।
বাদামের উপকারিতার পাশাপাশি এর অপকারিতা ও রয়েছে। তাই আজ আমরা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা দিকগুলো নিয়ে।
বলতে গেলে এক কথায় বাদামের পুষ্টিগুনে ভরপুর। বাদামে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ,প্রোটিন।এই উপাদানগুলো আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য এবং ত্বকের জন্য অনেক ভাল।
বাদাম এর উপকারিতা
ক্যান্সার থেকে বাঁচার
কাজু বাদামে থাকা প্রুনোথোসিনিডিন ফ্লাভোনিওইডের একটি প্রকার যা ক্যান্সার কোষগুলোকে ক্রমবর্ধমান থেকে আটকায়। কাজু বাদাম নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের কিছু অংশ থেকে বিরত রাখে। তাই নিয়মিত কাজু বাদাম খেলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
দূর করে ক্লান্তি
আমরা অনেকে ক্লান্তি অনুভব করি। বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে দূর হয়ে যাবে আমাদের ক্লান্তি। বাদামে প্রচুর পরিমাণে শক্তি রয়েছে। বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি হয়। এটা আমাদেরকে শক্তি দেয়। আর নিয়মিত বাদাম খেলে ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।বাদামে থাকা উপাদানটি আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করে দেয়।
শক্তিশালী করে মস্তিষ্কে
কাজুবাদামে একপ্রকার তেল থাকে, যা ভিটামিন বি সমৃদ্ধ।যার কারণে থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী খাদ্য হিসেবে খুবই পরিচিত। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। আরে ভিটামিন-বি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাদমে থাকা ভিটামিন বি আমাদের মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তিকে বৃদ্ধি করে। তাই মস্তিষ্ক শক্তিশালী করতে কাজুবাদাম খান নিয়মিত।
নিয়ন্ত্রণ রক্তচাপ
বাদামে রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে উচ্চ পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকেন।যার কারণে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সোডিয়ামের মাত্রা বেশি হলে আমাদের শরীরের রক্ত বৃদ্ধি পায় তখন রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাদাম খান।
কমায় কলেস্টেরল
প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে কলেস্টেরলের মাত্রা আমাদের শরীরে নিয়ন্ত্রিত হয়। বাদামে ব্যাপক পরিমাণে প্রোটিন থাকার কারণে আমাদের শরীরে অতি দ্রুত হজম শক্তি বাড়ায়।যারা কলেস্টেরলের সমস্যার মধ্যে আছেন তাদের জন্য বাদাম খুবই উপকারী। কলেস্টেরলের সমস্যা দূর করার জন্য আপনি খেতে পারেন নিয়মিত বাদাম। তাই যারা কলেস্টেরলের সমস্যা দূর করার জন্য বাদাম খান নিয়মিত। এতে করে অতি সহজে দূর হয়ে যাবে কলেস্টেরলের সমস্যাটি।
হৃদয় স্বাস্থ্যকর
বাদামে রয়েছে এমন এক প্রকার অ্যাসিড।আর এই অ্যাসিডটি আমাদের শরীরের হার্টের জন্য অনেক বেশি ভালো। এছাড়াও দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম, তামা এবং লোহার মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং হৃদরোগের সহায়তা করে। তাই হৃদয় স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য বাদাম খেতে পারেন।
ভালো রাখে মেজাজ
বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শক্তির উৎস। তিনি যদি আপনি একবার করে বাদাম খান তাহলে আপনার শরীরের ক্যালরির জন্য আর অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে না। বাদম মেজাজ ভালো রাখে খাদ্য হিসেবে খুবই পরিচিত। বাদামা থাকা উপাদানটি আমাদের বিষন্নতা দূর করে এবং মনকে রিফ্রেশ করে তোলে। তাই মেজাজ ভালো রাখতে নিয়মিত বাদাম খান।
হাড় গঠনে সাহায্য করে
বাদমে রয়েছে ফসফরাস। আর এই উপাদানটি আমাদের শরীরের হাড়ের অসুখ-বিসুখ বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে।তাই শরীরের হাড় গঠনের অসুখ-বিসুখ না হতে নিয়মিত বাদাম খান। এতে করে আপনার শরীরের হাড়ের অসুখ-বিসুখ হবে না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
বাদমে থাকা ম্যাগনেসিয়াম শরীরের শর্করা কমাতে সহায়তা করেন। এর ফলে বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য ডাক্তারেরা ডায়াবেটিস রোগীদের বাদাম খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
এবার জেনে নিন বাদামের অপকারিতা
বাদামের অপকারিতা ও অপকারিতা
বাদামের অপকারিতা
একটা খাবারের ভালো দিক খারাপ দিক উভয়ই থাকে। তাই একটি খাবার খাওয়ার আগে তার ভালো দিক খারাপ দিক জেনে খাওয়া ভালো।
ওজন বাড়াতে পারে
বাদামে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন ও ফ্যাট থাকে।তাই আপনি যদি অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে বাদাম খান তাহলে আপনি মোটা হয়ে যাবেন। কাঠবাদাম ওজন কমায় এর পাশাপাশি বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন রকমের বাদামে রয়েছে যেগুলো সঠিকমাত্রায় না খেলে ওজন বাড়াতে পারে। আপনার খাদ্য তালিকা নিয়মিত বাদাম রাখতে চাইলে চার ভাগের এক ভাগ রাখুন। তাই নিয়মের বাইরে বেশি পরিমাণে কখনো বাদাম খাবেন না। এতে করে আপনার শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
আপনি কাজু বাদাম খেতে পছন্দ করেন। কাজুবাদাম প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবেন না।কাজু বাদাম ২০০ গ্রামের বা এর বেশি পরিমাণে যদি খান তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।আর এই কারণটি হচ্ছে বাদামের অপকারিতা। তাই আপনার গ্যাস্ট্রিক যাতে না বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নিয়মের বাহিরে সবকিছু খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
অ্যালার্জির সমস্যা
বাদাম খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি না জানলে হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের অপকারিতা। তারমধ্যে যে সমস্যাটি দেখতে পাবেন সেটি হচ্ছে অ্যালার্জির সমস্যা।বিশেষ করে বাদামে রয়েছে অ্যালার্জির প্রবল সমস্যা। তাই আপনাকে সর্বপ্রথম সতর্ক হতে হবে কোন বাদামে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে।
ওষুধের কার্যক্ষমতা
বাদাম ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় যার ফলে বিভিন্ন রকমের অসুখ থেকে ভালো হতে অনেক সময় লেগে যায়।
বাদামে কোন ভিটামিন থাকে
বাদামে রয়েছে নানা রকমের ভিটামিন। সেগুলো হচ্ছে - প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই,ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন সি,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, এবং ওমেগা থ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড আরো অনেক কিছু রয়েছে। ভিটামিন গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী।আর এসব উপাদানগুলো আমরা অতি সহজে পেয়ে থাকি বাদাম খাওয়া থেকে। তাই এই ভিটামিন পাওয়ার জন্য আপনাকে নিয়মিত বাদাম খেতে হবে। বাদাম খাওয়া থেকে পেয়ে যাবেন এসব ভিটামিন গুলো।
বাদাম কত প্রকার
বাদাম চার প্রকার - কাঠ বাদাম,চীনা বাদাম,পেস্তা বাদাম,কাজু বাদাম।
Q - কাঠ বাদাম খেলে কি উপকার হয়
Ans - কাঠ বাদাম খেলে কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং হজমের শক্তি বাড়ায়।
Q - চিনা বাদাম খেলে কি উপকার হয়
Ans - ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী এবং তার সাথে ত্বক ও চুল ভালো রাখে।
Q - পেস্তা বাদাম খেলে কি উপকার হয়
Ans - রক্তকে শুদ্ধ করে।
Q - কাজু বাদাম খেলে কি উপকার হয়
Ans - হার্টের রোগীদের জন্য উপকারী।
Q - বাদামে কোন এসিড থাকে
Ans - বাদামে উচ্চমাত্রায় ফলিক এসিড থাকে।
আমাদের শেষ কথা
এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল।ইতিপূর্বে আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে জেনে গেছেন বাদামের উপকারিতা এবং অপকারিতা। যদি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকারে আসে তাহলে একটা কমেন্ট করতে ভুলবেন না।