Type Here to Get Search Results !

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা - পেয়ারার উপকারিতা - পেয়ারার পুষ্টি গুণ

 পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা - পেয়ারার উপকারিতা - পেয়ারার পুষ্টি গুণ


আমাদের আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে।পৃথিবীর প্রতিটা খাবার জিনিসে কোনো-না-কোনো গুনাগুন রয়েছে। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি না কোন খাবারে কোন গুনাগুন থাকে। 

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা


পেয়ারা ছোট একটি ফল। এ ফলটি খেতে অনেক মজা। এই ফলটি পাকা ও কাঁচা উভয় সময়ে খাওয়া যায়। এই ফলটি এমনও কিছু গুনাগুন রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 


বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পেয়ারা আমাদের জন্য উপকারী একটি ফল। পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন এ। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। 

পাকা পেয়ারার উপকারিতা

পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন-এ রাতকানা রোগ থেকে দূরে রাখে আমাদেরকে। চোখের নানান সমস্যা থেকে দূরে রাখে পেয়ারা ফলটি।কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাটি থেকে মুক্তি দেয় পেয়ারা থাকা ফাইবার। এখন আপনি সুস্থ থাকতে চাইলে ডায়েটের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন পেয়ারা ফলটি।


জেনে নিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি


ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ


বিশেষজ্ঞরা বলেছেন প্রতিদিন একটা করে পেয়ারা খেলে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাতে করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়। এছাড়াও আরও বলেন ডায়াবেটিস ২ রোগ থেকে দূরে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পেয়ারা। পেয়ারা ফলটি ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ এর জন্য অনেক উপকারি একদিন উপাদান। 

পেয়ারার উপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা


পেয়ারা ফল পেতে রয়েছে ভিটামিন সি এর উৎসব। যা আমরা অতি সহজে পেয়ারা থেকে পেয়ে থাকি।যার ফলে আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের আনাগোনা থেকে শরীরকে মুক্ত করা যায়। এর ফলে আমাদের শরীরে হাঁচি কাশির সমস্যা দূর হয়ে যায় অতি সহজে। ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। 


দৃষ্টিশক্তি ও কোষ্ঠকাঠিন্য


পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে হলে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন এর আরেকটি উৎস হচ্ছে পেয়ারা। পেয়ারা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে ভিটামিন এর অভাব পূরণ  হয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাটি থেকে মুক্তি দেয় পেয়ারা থাকা ফাইবার। এখন আপনি সুস্থ থাকতে চাইলে ডায়েটের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন পেয়ারা ফলটি।


ক্যান্সার প্রতিরোধ 


মরণ নামক ক্যান্সার প্রতিরোধেও পেয়ারা ফলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে ছোট এই পেয়ারাটি ফলটি। প্রোস্টেট ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য পেয়ারা ফলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায় ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য পেয়ারা ফলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। 


উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে 


পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম নামক উপাদানটি রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন নিয়ম করে পেয়ারা খেলে রক্তচাপ রক্তের লিপিড কমে আসে।লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা নিয়মিত খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনি খেতে পারেন পেয়ারা ফলটি। 


পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে 


শুধু পেয়ারাতে নয়।পেয়ারার পাতাতেও রয়েছে কিছু গুণাবলী। অনেকের পিরিয়ড চলাকালীন সময় পেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা থাকে এবং পেটে ব্যথা ভালো করার জন্য ওষুধ খেতে হয়। পিরিয়ডের সময়ে কেউ যদি পেয়ারার পাতা চিবিয়ে রস খাই তাহলে তার পিরিয়ডের ব্যথা দ্রুত কমে যাবে। 


পেটের সমস্যায় 


পেটের সমস্যায় দূর করতে পারেন ছোট এই পেয়ারা ফলটি। যেকোনো ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ পেটের সমস্যা দূর করতে কার্যকারী পেয়ারা ফল।এছাড়া এই ফলের রস কোষ্ঠকাঠিন্য, আমশায়সহ পেটের অসুখ সারাতে সাহায্য করে এই ফলের রস। আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য এই ফল।


ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করে 


আমাদের ঠান্ডা লাগা যেমন শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশিতে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে পেয়ারা ফল।ব্রংকাইটিস এর মত ঠান্ডাজনিত সমস্যা প্রতিরোধ করে পেয়ারা।ক্যারাটে থাকায় আয়রন ও ভিটামিন সি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। 


দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে 


কাছাকাছি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। এতপ থাকা ভিটামিন-এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের সকলের উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা ফলটি রাখা উচিত। 


অন্তঃসত্ত্বা পেয়ারা


অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই পেয়ারা ফলটি। এমনটা জানাচ্ছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের খাদ্য তালিকায় একটি করে পেয়ারা ফল রাখার জন্য।


স্ট্রেস কমাতে পেয়ারা 


স্ট্রেস কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে পেয়ারা। উদ্বেগজনিত সমস্যা কমায় এবং আরো নানা রকমের মানসিক সমস্যা দূরে রাখে পেয়ারা। মানসিক চাপ দূরে রাখতে স্টেস কমাতে ছোট এই পেয়ারা ফলটি অনেক বেশি কার্যকরী। 


পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 
পেয়ারার অপপকারিতা 


প্রতিটা জিনিসের ভালো দিক খারাপ দিক উভয়টি থাকে। আমাদের সকলের উচিত একটা জিনিস এর ভালো দিক খারাপ দিক উভয়টি জানা। এ ফলটি বেশি পরিমাণে খেলে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে। নিচে পেয়ারার অপকারিতা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 


সর্দি কাশির আকাঙ্ক্ষা রয়েছে 


যাদের প্রায়ই সর্দি-কাশি সমস্যাটি লেগে থাকেই তারা পেয়ারা ফলটি না খাওয়া ভালো। কারণ পেয়ারা ফলটি ঠান্ডা। এটি বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে সর্দি কাশি আরো বাড়তে থাকবে। 


গর্ভবতী মহিলাদের বেশি খাওয়া উচিত নয় 


গর্ভবতী মহিলা এবং দুন্ধদানকারী মহিলাদের এদের বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।এই ফলটি অতিরিক্ত খাওয়ার পরে ফাইবার বাড়ে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। 


স্বাস্থ্য সমস্যা 


আপনি যদি অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। তবে পেয়ারা না খাওয়া ভালো। এরমধ্যে পটাশিয়াম এবং ফাইবার থাকার আপনি ডায়াটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে এসএসসি কৃষকের সঙ্গে পরামর্শ করেন। 


অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে পেট খারাপ হতে পারে। অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা হতে পারে।ডায়াবেটিস রোগীদের পেয়ারা খেলে সমস্যা হতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে তার একটা পরিমাণে পেয়ারা খেতে পারে। আর যাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই তারা পেয়ারা না খাওয়াই ভালো । 


আপনি একজিমা গুরুতর অবস্থায় থাকলে সাবধানতার সঙ্গে পেয়ারার পাতার নির্যাস ব্যবহার করুন।


পেয়ারাতে কি ভিটামিন - পেয়ারাতে কোন ভিটামিন থাকে


পেয়ারাতে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফাইবার, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ। ভিটামিন সি এর ভালো উৎসব হচ্ছে পেয়ারা ফল। 


আমাদের শেষ কথা 


আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইতিপূর্বে আপনারা জেনে গেছেন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা কি কি। তবে পেয়ারাতে বিশেষ গুণ রয়েছে। যা আপনার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ  অতিরিক্ত বেশি পেয়ারা খেলে সমস্যা আছে। তাই কোন জিনিস নিয়মের বাইরে খেতে নেই। 


Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies