আমাদের আজকের লিখাটি হচ্ছে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার নিয়ে।আমরা অনেক হয়তো জানিনা কোন কোন খাবার গুলোতে ভিটামিন রয়েছে। আমাদের শরীরের জন্য ভিটামিন-এ খাবারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন এ'র অভাব থাকে তাহলে আমাদের শরীরে নানা রকমের সমস্যা হতে পারে।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার |
নিচে অনেকগুলো ভিটামিন এ যুক্ত খাবার দেওয়া হল
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার
১) মাংস
মাংস প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিনের অভাব চাহিদা পূরণ করতে মাংস খান।সম্প্রতি হুঁশির মাংস বা ঘরে পালিত মুরগির মাংস খুব ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ আছে। উচ্চমানের প্রোটিন মাংস তে রয়েছে। মাংস হল প্রাণী শরীরের খাদ্যাংশ। মাংস অনেক প্রাণী থেকে পাওয়া যায়, যেমন গরু, মুরগি, বাঘ, হরিণ ইত্যাদি। মাংস একটি উন্নয়নশীল পুষ্টিক খাদ্য হিসাবে প্রচলিত। এটি উচ্চমাত্রার প্রোটিন এবং মহান পরিমাণে বিটামিন, খনিজ এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, লিপিড, ক্যার্বোহাইড্রেট এবং নিউক্লিক এসিড পাওয়া যায়। মাংস খাওয়ার উপকারিতা হল স্বাস্থ্যকর হওয়া, বিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করা, পুষ্টিক এবং মাংস হল উচ্চমাত্রার প্রোটিনের উৎস।
২) মাছ
মাছ খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। সবাই কিন্তু মাছ খেতে পছন্দ করে। মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। মাছ হল জলচর প্রাণীদের খাদ্যাংশ। মাছ প্রাকৃতিকভাবে সমুদ্র, নদী, হাওর ইত্যাদি জলাশয় থেকে সংগ্রহ করা হয়। মাছ খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং সম্পূর্ণ প্রোটিন সরবরাহ করে। মাছ খাওয়ার উপকারিতা হল এটি স্বাস্থ্যকর হওয়া, বিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করা, পুষ্টিক এবং মাছ হল উচ্চমাত্রার প্রোটিনের উৎস। সাধারণত মাছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, বিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছে অনেক প্রকার ফ্যাট ওমেগা-৩ ফ্যাট পাওয়া যায়, যা হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।মাস থেকে সব ধরনের ভিটামিন পাওয়ার জন্য সবসময় খাদ্যতালিকা মাছ রাখুন।
৩) দুধ
দুধ একটি তরল জাতীয় খাবার। এই তরল জাতীয় খাবারে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ লুকিয়ে রয়েছে। দুধ একটি পুষ্টিক খাদ্য হিসাবে পরিচলিত। এটি প্রোটিন, ক্যার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। দুধে অনেক পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় যা হাড় এবং দাঁতের জন্য ভাল। দুধ খাওয়ার উপকারিতা হল পুষ্টিক, হাইড্রেটিং, প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম সরবরাহ করা। এছাড়াও দুধে অনেক প্রকার ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায়, যা শরীরের নিরাপত্তার জন্য ভাল। দুধ হল সমস্ত বয়সবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্যাংশ।শরীরের ভিটামিনের অভাব চাহিদা পূরণ করতে দুধ খান। তাই আমাদের সবার উচিত আমাদের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য দুধ খাওয়া।
৪) আঁখ
ভিটামিন এ'র আরেকটি উৎসব হল আঁখ।এয়ার থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। আঁখ ভিটামিন এর একটি ভালো উৎস, এটি কালো লবন ও আঁখের খাবারে পাওয়া যায়।তাই শরীরে ভিটামিনের অভাবের চাহিদা পূরণ করতে আঁখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫) শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন এ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। ফলেও কিন্তু বেশি পরিমাণে ভিটামিন থাকে। সবজি ও ফলে আমের ফল, নারকেল, ক্যান্টালূপ এবং মেষশৃঙ্গী প্রমোশনাল ভিটামিন এ উৎস হিসাবে কাজ করে।শাকসবজি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এটি খাবার। যে খাবারটি তে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
৬) গাজর
গাজর হল একটি সবজি। যা সহজে পাওয়া যায়। গাজরে বেশি পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। এ ভিটামিন এর অভাব পূরণ করতে গাজর খাওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গাজরে রয়েছে অনেক উপকারিতা। প্রথম নজরেই বলা যায় যে এটি ভিটামিন A এবং ক্যারোটিন সম্পন্ন একটি খাবার। এই উপাদানগুলি আপনার চোখের স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে এবং রোগপ্রতিরোধ করতে পারে। গাজর আরও ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান সম্পন্ন হতে পারে যেমন পটেশিয়াম এবং এন্টিক্সিড্যান্ট। এছাড়াও, গাজর স্কিন ও হেয়ার স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে কারণ এটি ভিটামিন A এবং সিংকের সম্পন্ন।ভিটামিন এ জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি খাবার হচ্ছে গাজর। এটিতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। যার জন্য মানুষ বেশিরভাগ গাজর খেতে পছন্দ করে।
৭) লাল শসা
লাল শসা একটি সবজি জাতীয় খাবার। এই লাল শসাতে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। আরো পাওয়া যায় ভিটামিন সি। তাই ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এর উৎস পেতে লাল শসা সবজিটি খেতে পারেন। লাল শসা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন C এবং ভিটামিন A সম্পন্ন একটি খাবার। এটি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করতে পারে। এছাড়াও, লাল শসা সহজেই পাচ্য এবং আন্তজ স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করতে পারে।লাল শসা শরীরের জন্য একটি উপকারী সবজি। এ সবজিটি শরীরের বিভিন্ন প্রকারের উপকার হিসেবে কাজ করেন।
লাল শসা আপনার চর্বি ও অস্থি স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করতে পারে কারণ এটি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সম্পন্ন। এটি আরও স্বাস্থ্যকর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে কারণ এটি আন্তজ পুষ্টিকর উপাদানগুলি সম্পন্ন।ভিটামিন এ পাওয়া যায় এমন অনেক খাবার আছে। কিন্তু যে খাবারগুলো তে বেশি পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায় সে খাবারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি খাবার।
ভিটামিন এ
৮) মূলা
মূলাও হচ্ছে কি সবজি জাতীয় খাবার। সবজি জাতীয় খাবারের সারা বছর পাওয়া যায় না। এটি শীতকালীন সবজি। মূলত রয়েছে ভিটামিনের ভালো একটি উৎস রয়েছে। ভিটামিন এর উৎসব যা আমরা মূলা থেকে পেয়ে থাকি। মূলা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন C, পোটাশিয়াম, ফোলেট, আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানগুলি সম্পন্ন একটি খাবার। এটি শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করতে পারে। এছাড়াও, মূলা আপনার চর্বি ও অস্থি স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করতে পারে কারণ এটি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সম্পন্ন।যেহেতু এসব জুটি সারা বছর পাওয়া যায় না তাই এ সবজিটি যে সময় পাওয়া যায় শেষ সময়ে এই সবজিটি খাওয়া সবার জন্য দরকার।
৯) কালোজিরা
কালোজিরা এটি একটি মহাঔষধ। এটি অনেক রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই কালোজিরাতেও কিন্তু ভিটামিন রয়েছে। এটি মূলত প্রোটিন এবং ভিটামিন এ এবং এ সি সম্পন্ন খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত বাঙালি খাবারের একটি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেমন কালোজিরা ভর্তা, কালোজিরা ডাল এবং কালোজিরা রোটি।তাই কালোজিরা থেকে এসব ভিটামিন পাওয়ার পেতে হলে কালোজিরা অবশ্যই আপনাকে খেতে হবে।
ভিটামিন এ জাতীয় খাবার নাম
১০) ব্রোকলি
ব্রোকলি হলে একটি সবজি জাতীয় খাবার। এটিতেও কিন্তু ভিটামিনের বিভিন্ন রকমের গুণাগুণ রয়েছে। এটি বিটামিন, ফোলেট, পটাশিয়াম, ফাইবার এবং প্রোটিনের ভালো উৎস এবং স্বাস্থ্যকর পোষক উপাদান রয়েছে। এটি স্টিম করে বা স্যুটি করে খাওয়া যেতে পারে। ব্রোকলি একটি উন্নয়নশীল প্রজাতি এবং এটি রাসায়নিক বিশেষত্ব বিশিষ্ট ভিটামিন এ এবং সিংকের উৎস। এটি বিভিন্ন রকমের রেসিপি এর মাধ্যমে খাওয়া যেতে পারে।তাই ভিটামিনের এমন উৎসবগুলো খেতে ব্রোকলি সবজিটি খেতে হবে।
আমাদের শেষ কথা
উপরে যে খাবার গুলোতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিন এ আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই ভিটামিন-এ পেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খেতে হবে। তাই শরীরে ভিটামিনের অভাব চাহিদা পূরণ করতে উপরের দেওয়া খাবারগুলো খেতে পারেন। উপরের দেওয়া খাবার গুলোতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এ খাবারগুলো থেকে আপনি অতি সহজে ভিটামিন এ পেয়ে যাবেন এবং অতি সহজে আপনার শরীরে ভিটামিনের অভাব চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।