শুভ রাত্রি কবিতা - শুভ রাত্রি ভালোবাসা
আমাদের আজকের লিখাটি হচ্ছে শুভ রাত্রির কবিতা নিয়ে।আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে আজকের কবিতাগুলো। খুব সুন্দর করে লেখা হয়েছে শুভ রাত্রির কবিতা গুলো।
শুভ রাত্রি কবিতা |
১)তোমার জন্যই জমিয়ে রাখি
একগাদা রক্ত-গোলাপ।
তোমাকে নিয়ে কাব্যরচনায়‚
কবিতায় হয় হাজারো আলাপ।
শুভ রাত্রি প্রেমের কবিতা
তোমার প্রেমেই হয়েছি আমি;
প্রাণচাঞ্চল্য এক যুবতী।
জ্যোৎস্না হারায়; হারাক তার আলো!
তুমিই আমার রাতের জ্যোতি।
২) তুই আমার আশার আলো‚
জীবনের চাওয়া সব সুখ
নয়ণ ভরে দেখি বারবার‚
তোর'ই মায়া মাখা মুখ!
তোর'ই মুখের মায়া হাসি‚
সুখ খুঁজি আমি তায়!
তোর হাসিতে আলোকিত আমি‚
আঁধার ঘেরা জ্যোৎস্নায়!
অবাক নয়ণে তাকিয়ে রই‚
একি যাদুকরী তব হাসি;
হাসিতে বহে প্রেমের বন্যা‚
তাইতো তোকে ভালবাসি!
শুভ রাত্রি এর মেসেজ
৩) তুমি আছ মনের ঘরে
তবু তোমায় খুঁজি‚
তুমি আমার সুখ দুঃখ
এটাই আমি বুঝি।
তুমি আমার গান কবিতা
দিবানিশি লিখি‚
রাতের বেলা ঘুমের ঘোরেও
তোমায় আমি দেখি।
নিশী রাতের স্বপনে তুমি
হাতে রাখ হাত‚
তুমি ছাড়া লাগেনা ভালো
একলা কোন রাত।
৪) তুমি আমার 'তুমি' হবে
'তুমি' বলে ডাকবো‚
হৃদয় পাতায় তোমার ছবি
আমার মত আঁকব।
আমি তোমার বাঁশি হবো
ঠোঁটের মাঝে রেখো‚
সুর বাজাবে দূর মোহনায়
স্বপ্ন এঁকে যতো।
তুমি আমার ইচ্ছে হবে
ইচ্ছে ঘুড়ির রঙ‚
তুমি আমার রাত্রি হলে
আমি আলোর ভোর।
৫) আকাশে উঠেছে চাঁদ-তারা
তোমার জন্য আমি দিশেহারা।
দক্ষিণা বাতাস লাগছে প্রাণে
তোমাকে আমার ধরছে মনে।
শান্ত নদীর কোলাহল—
আছে ভালবাসার চলাচল।
পূর্ণিমা রাতের মিষ্টি আলো
তোমার লাগবে অনেক ভালো।
জ্যোৎস্না আকাশের চাঁদনী রাতে;
দিচ্ছি আমি ডাক—
কোথাও তুমি পাবে নাকো
এমন সুন্দর রাত।
রাতের কবিতা
৬) আজকে আর কবিতা নয় —
একটু বিশ্রাম হোক নিরিবিলে;
তুমি বরং পাশে এসে বস আমাকে ছুঁয়ে।
আজকে আর কবিতা নয় —
কলম থেমে থাক আজ রাতে;
তুমি বরং হাতটা ধর তোমার নিয়ন্ত্রণে।
আজকে আর কবিতা নয় —
আজ দিলাম ছুটি কবিতাকে;
তুমি বরং সেড়ে নিতে পারো তোমার না বলা অজস্র কথা সুরে সুরে।
৭) যদিও খুব হিসেব কষেই চলছি —
তবুও মন থাকেনা মনের খাঁচায় বন্দী‚
চোরাবালি; পুষছি ডায়রির ভাঁজে –
যদি কখনো দাও ধরা এসে!
এখন আমি তোমার মতো ভাবছি —
সবুজ রঙে স্বপ্ন লিখি আমার বুকে;
পথ হারানোর ভয় নাই আর 'আজ',
দ্যাখো ক্যামন আগলে বুকে তোমাকে।
৮) রাতের আকাশে ঠিক ধারাপাতের মতো নয়_
এ যেনো এক অন্য সমীকরণ!
এক নিঃশ্বাসে পদ্য বলতে শেখা‚ দ্বিধাহীন অচেনা_
এ যেনো অন্য কোনো মন!
চলো সেথা যাই‚ খুঁজে পাই‚ কি-না পাই_
চোখবন্দী করি‚ এমনই এক মহাজাগতিক ক্ষণ।
৯) তুই আমার সকাল দুপুর‚
বিকেল সন্ধ্যা রাত ...
তুই আমার গোধূলির সূর্য‚
রংধনুর রং সাত!
তুই আমার সাগরের ঢেউ-
অরণ্যের গহীন বন‚
তুই আমার সবুজ প্রান্তর-
ঝর্ণার স্বচ্ছ জল।
তুই আমার প্রেমের আকাশে‚
উড়ে চলা বক পাখি —
আমি তোর মন বাগানের‚
একমাত্র রঙীন প্রজাপতি।
রাতের ক্যাপশন
১০) আমি ভালোবাসার এক ছবি-
ভালোবাসা হৃদয় জুড়ে;
ভালোবাসায় আমার বসবাস-
তোমার হৃদয় জুড়ে!
ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ হই-
আমি প্রেমের ছবি;
প্রেম সাধনায় জড়িয়ে যাই-
উঠাতে প্রেমের রবি!
রবিতে জ্বলে প্রেমের শিখা-
শিখায় আলোকিত মন;
আমি নিজেতে হারিয়ে যাবো-
জানি তুমি আমার ভুবন!
১১) আবার আসিবো ফিরে‚
কাল সকালে ..
নতুন কিছু নিয়ে‚
তোমাদের মাঝে ..
তখন কথা হবে‚
শব্দ ছন্দ কবিতায় ..
এখন আর নহে তায়‚
এই নিশি রাতে ..
শুভ রাত্রি জানাই‚
সকলের তরে ..
রাত শেষেও মনে রেখো‚
বন্ধুরা আমাকে।
১২) জীবন দ্বারে তুমি বারে বারে
উঁকি দাও প্রেম নিয়া‚
তোমার চাহনিতে দোলা দেয় মনে
নেচে ওঠে মোর হিয়া-
তুমি আছো সারা হৃদে ঘেরা
ফুল দিয়ে বেড়া মনে‚
স্বপনে দেখি তোমার কায়া
জীবনের প্রতি ক্ষণে।
যত প্ৰেম ভালোবাসা নিয়া
রোজ তব ছবি আঁকি‚
তুমি আপনার; তোমার আমার
যত প্রেম বেঁধে রাখি।
১৩) তারায় তারায় রাতের আকাশ
যখন প্রহর মাপে যামে—
দুঃখগুলোর ফানুস উড়াই
সুখগুলোকে ডাকি ডাকনামে।
খুঁজে পাওয়া আদরগুলো
এ যেনো আমার প্রাপ্তি—
যত্নে সাজাই ললাট আমার
খুশির নেই কোনো খামতি।
কাঁটাগুলো; কাঁটাই থাক'
টপকে যাবো প্রতিবার–
অভ্যাসে শুধু তুলবো ফুল
ভরবে সাজি বারবার;
শুভ রাত্রি কবিতা |
১৪) বিশ্বাস হলো জীবন মাঝে
বেঁচে থাকার ছন্দ‚
বিশ্বাস ভাঙলে জীবন নষ্ট
মনে জাগে দ্বন্দ্ব।
বিশ্বাস রেখে মনের মাঝে
সঙ্গী সবে গড়ো‚
উদার মনে মিলেমিশে
সুখে বসত করো।
বিশ্বাস হলো জীবন চলার
অদৃশ্য এক যন্ত্র‚
বিশ্বাস হলো বুকে জমা
ভালোবাসার মন্ত্র।
শুভ রাত্রি কবিতা
১৫) ভাবনারা কেবল উঁকি দেয়
তোমার মনের গগনে‚
আঁকিবুঁকি খেলে পরিযায়ী
উড়তে চায় নীলের নবঘনে!
কবিতার ডানা আঁকে নীলাদ্রির
আবেশ জড়ানো শরীরে;
মগজ ঝালাই করা শব্দের নামতা
পরতে-পরতে প্রসব করে!
যেখানে ভর করে আছে
আগাগোড়া প্রণয় গল্পে মোড়া‚
হৃদয়ে নিটোল জলছবি আঁকা
একটি মরমি কবিতা।
১৬) একটু খানি হাসো দেখি
আঁধার ঘরের আলো‚
তোমায় যদি হাসতে দেখি
সবই লাগে ভালো।
আমার কথা শুনেও কেন
না শুনার ভান কর‚
তোমার হাসি দেখতে
আমার শখ হল যে বড়ো।
– এনে দাও তবে ঝুমকো জবা
কানে চান্দির দুল!
আরও সুন্দর দেখতে হলে;
একটি গোলাপ ফুল।
১৭) পাহাড় ঘেঁষে ঝর্ণাধারা
তার প্রবাহে মন হারায়‚
মুগ্ধ মনে ডাকে ইশারায়
প্রকাশ যেন তার অভিপ্রায়!
মনের চাওয়া পাওয়া
মৃদু হাওয়ায় জড়ায়‚
স্রোতের ধারার মায়ায়
জড়িয়ে পড়ে আপনায়!
টলোমলো রূপের ছলে
দুলে দুলে ঢেউ খেলে যায়‚
ঘুরে ফিরে খুঁজি তারে
এমনি বেলা যায় পরস্পরায়!
১৮) তোমার তরে আমার মনে
আছে অনেক প্রীতি‚
অপরিচিত যদিও আমি
মনে তোমার স্মৃতি।
তোমার সাথে বলতে কথা
কেন লাগে ভালো‚
তুমিও কি আমার মতোই
ভালো লাগা পালো?
যেথায় থাকো ভালো থেকো
থেকো অনেক সুখে‚
নিও না প্রিয় তুমি কখনো
ব্যথা হৃদয় মাঝে।
১৯) ভুলে যেওনা—
মনে রেখো ভাঙা চুলের ক্লিপ;
আঠা শেষ হয়ে যাওয়া কালো টিপ‚
জানালার পাশ ধরে জেগে থাকা—
রেলিঙের আলো;
ভুলে যেওনা—
ভুলে গেলে তো; মরে যাবো!
তারচেয়ে চলো নিজেদের হই
একে-অপরের পোশাক হই‚ চলো—
চলো না-হয় নিজেদের হতে-হতে
নিজেদের ভেতর নিজেরা‚
আরও মরে যাই অফুরন্ত!
সুন্দর শুভ রাত্রি
২০) জীবন মানেই এক ভালবাসা
ভালবাসায় জড়ানো বাঁধন‚
কাঁদবে জীবন সইবে জীবন
তবুও ভালবাসবো জীবন।
এ জীবন আর কিছু নয়
কাহিনী তোমার আমার‚
জীবন হোক অনন্য সুন্দর
জীবন হোক ভালবাসার।
তোমার আমার জীবন কাহিনী
ভালবাসায় নিও মুড়িয়ে‚
সত্যের বাতি জ্বালিয়ে যেও
আঁধারে হাতটি রেখো জড়িয়ে।
২১) ভালোবাসার নীল সমুদ্রে -
কেনো আমি দেবো একা ডুব‚
তুমিতো আছোই তবে -
হোক কিছু ভুল চুক...
আমি নেই‚ তবু যেন আছি;
এ দ্বন্দ্ব প্রেমের প্রকৃতি‚
আমাকে হত্যা করে ...
গোপনে লালন কোরো স্মৃতি।
২২) তুমি কাছে এলে পাশে থাকো
দূরে গেলে বুকে‚
কাছাকাছি পাশাপাশি ---
কে রই বলো সুখে।
যতটাই রেখে দেই দূর
নয়ন; সীমান্তে‚
ততটাই হয়ে আছো সুরে
হৃদয়ে; দিনান্তে।
২৩) সুন্দর তুমি এসেছো
গভীর স্বপ্নে মোর‚
স্নিগ্ধ আকাশ জুড়ে
থাকি তোমায় বিভোর।
তোমার লাগি রাত্রি জাগি
কত স্বপ্নে প্রাণ ভরে যায়‚
আঁধারে তুমি চাঁদের আলো
থাকো তুমি গগন-মোহনায়;
বসন্তের এই হাওয়ার মত
মন মেতেছে তোমার সনে‚
মেনেছি গো হার মেনেছি
তোমায় ভালোবেসে।
২৪) রাত কাটুক স্বপ্ন মায়ায়...
শান্তি সুখের নিবিড় ছায়ায়।
রাত্রি শেষে আসুক প্রভাত আলো...
সুবার্তা বয়ে আনুক ভালো।
শুভ রাত্রি ভালোবাসা
২৫) মেঘের নীড়ে হাততালি-
বেজে যায় নিশি‚ গরজে বরষে;
এপার-ওপারে রসি টেনে..
অভিনয় মঞ্চে হরষে!
একঘেয়ে চরিত্রে-
জীবনের নাটকে অভিনয়ে;
নিসিন্দা গাছের ডালে-
রাতজাগা পাখিরা কম্পিত ভয়ে।
পাল্টে জীবনে উড়বে পাখনা-
একটু ডালার ফাঁকে‚
রঙমঞ্চের পর্দা টানবে-
মেঘ গুরুগুরু ডাকে..
২৬) এমন একটা ঘর হোক-
যেথায় রইবো মিলে দুজনায়‚
এমন একটা স্বপ্ন হোক-
আঁকবে আমায় মন আল্পনায়।
এমন একটা তুমি হোক-
যে হবে শুধুই আমার‚
এমন একটা মন হোক-
হবে শুধুই আমার বসবাস।
এমন একটা কলম হোক-
ছন্দ হবো শুধুই আমি‚
এমন একটা কবিতা হোক-
সেথায় শুধু আমার ছবি।
২৭) আঁধার আছে তাইতো সবে
আলোর কদর বুঝে‚
রাতের বেলা তাই সকলে
আলোর দিশা খুঁজে।
রবি'র আলো ফোটার সাথে
পাখিরা গায় সুরে‚
ফুলের বাগে কুসুম কলি
ফুটে ওঠে হেসে।
ছড়িয়ে পড়ে আলোরধারা
মনটা ওঠে দুলে‚
নতুন দিনের হয় যে শুরু
অন্য এক নামে।
শুভ রাত্রি কবিতা |
২৮) সুখ আর বিষন্নতার মিশ্র আলাপনে —
অদ্ভুত কেটে যায় আলো আঁধারিয়া জীবন‚
সবর আর শোকরের এক আশ্চর্য মিশেলে-
বুকে নিয়ে জান্নাতের অপরূপ সুন্দর স্বপন।
২৯) জীবন আমার কাছে আকাশ দেখার মতো মনে হয়। কতোটুকু আকাশ দেখলাম‚ তারচেয়ে মূখ্য কতোটুকু নীল ধারণ করতে পারলাম বুকে‚ সেটাই।
জীবন মূলত ঐ যে নীল আকাশ; ভাঙা ভাঙা জ্যোৎস্নার ভেতর ছায়াসহ সরে যাওয়া!
৩০) থাকবে তুমি বইয়ের পাতায়-
কাব্যের ছন্দে ছন্দে;
তোমায় আমি খুঁজে নেবো-
প্রতিটা শব্দে শব্দে।
আছো তুমি স্মৃতির পাতায়-
প্রতি অক্ষরে অক্ষরে;
ভালোবাসায় উঠবো মেতে-
স্বপ্নে দেখা হবে।
গাইবে ভোরের পাখি হয়ে-
কোকিল সুরে সুরে;
তোমায় আমি পাই যে খুঁজে-
আমার হৃদয় জুড়ে।
এই ছিল আমাদের আজকের শুভরাত্রির কবিতা। কবিতা মানুষকে আনন্দ দেয়। কবিতা পড়ার মধ্যে এত আনন্দ পৃথিবীতে আর কোন পড়াতে নেই । কবিতা মানুষকে হাসাই।আশা করি সবগুলো কবিতা আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।