আমাদের আজকের লিখাটা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়।অনেকে হয়তো জানেনা গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে যে সন্তানের সমস্যা হয়। গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি সমস্যা হয় তাই নিয়ে আজকে আমরা বিস্তারিত বলবো।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
অনেক গর্ভবতী মহিলা রাতে ঘুম না হওয়ার কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাই সারাদিন ঘুমিয়ে নয় এবং বসে ও নয়।কিছু সময় ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিও জরুরি।
গর্ভবতী মহিলাদের পাকস্থলীর উপর অনেক চাপ পড়ে। আর সেই কারণে বদহজম, অ্যাসিড রিফ্লেক্স হয় অনেকের।বিশেষ করে সেই সময়টাতে খাবারগুলো গলায় উঠে আসে। যার ফলে গর্ভবতী মহিলারা ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনা।
একজন গর্ভবতী মহিলার পর্যাপ্ত ঘুম এখন বিশ্রামের কয়জন আছে। একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে তাকে দিনে কমপক্ষে দিনে 7 থেকে 8 ঘন্টা ঘুমাতে হবে।গর্ভ অবস্থায় ঘুম না হলে মা ও সন্তানের জন্য খারাপ হবে।অবশ্যই ঘুম ভালো না হলে প্রেগন্যান্সিতে নানা রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে।তাই অবশ্যই গর্ভ অবস্থায় সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। গর্ভবতী অবস্থায় রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।দিনে দুই ঘন্টা ঘুমাবেন।
গর্ভাবস্থায় মা যদি বেশি ঘুমায় তাহলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। অতিরিক্ত ঘুম হবে গর্ভের সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। দিনে 9 ঘন্টা বেশি ঘুমালে গর্ভের সন্তানের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। গর্ভ অবস্থায় পেট বড় হয়ে যাওয়ার কারণে এবং হরমোনের কারণে নানা রকমের পরিবর্তনের কারণে ঘুম ভালো হয় না। নিয়মের বাইরে কখনো অতিরিক্ত ঘুমানো উচিত নয়।অতিরিক্ত ঘুমিয়ে গর্ভের সন্তানের বিপদ ডেকে আনবেন না।
সাউন্ড স্লিপ না হওয়ার জন্য অনেক সময় ঘুমের মোট ঘন্টা বেড়ে যায়। হরমোনজনিত সমস্যার কারণে গর্ভবতী মহিলাদের ইনসমনিয়া দেখা দিতে পারে।প্রোজেস্টেরোন লেভেল বেড়ে যাওয়ার ক্লান্তি বাড়তে পারে। আর এসবের কারণে অনেক গর্ভবতী মহিলাদের ঘুমের ভাব বেড়ে যায় অনেকের।
গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে কি হয়
গর্ভকালীন মহিলাদের পাকস্থলীর উপর অনেক চাপ পড়ে।পাকস্থলির উপর চাপ পরার কারণে বদহজম অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় অনেক জনের।বিশেষ করে ঘুম না হওয়ার কারণ হচ্ছে গর্ভকালীন অবস্থায় খাবারগুলো গলায় উঠে আসার কারণে। এজন্যই অনেকে ঘুমাতে পারে না ভালোভাবে। ঘুমের মোট ঘন্টাটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে অবশ্যই ভালো ঘুমের কয়জন আছে।
রাতে ঘুমানোর সময় সাউন্ড স্লিপ হলে দিনের বেলায় বার বার ঘুমের ভাব একাবারে অনেকটা কমে যাবে।
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয় |
গর্ভাবস্থায় রাতে ঘুমানোর জন্য প্রয়োজন শারীরিক পরিশ্রম। তবে আপনি কী ধরনের অ্যাক্টিভিটি করবেন তা অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করুন। অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে এবং এর ফলে ঘুমও ভালো হবে। আবার ফিজিক্যাল অ্যাকিভিটি করলে গর্ভবতী মহিলাদের অনেক সময় ডায়াবিটিস এবং হাইপারটেনশন হয়ে যায়, তার প্রবণতাও কমে।মোটকথা হল হল আপনি অতিরিক্ত ঘুমাতে পারবেন না।অতিরিক্ত ঘুম আপনার গর্ভের সন্তানের জন্য ঝুঁকি হবে।
এছাড়া গর্ভ অবস্থায় ভালো ঘুম যাওয়ার জন্য আগে একটা ঘুমের রুটিন বানিয়ে নিতে হবে তাহলে ঘুম ভালো হবে।প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমিয়ে যাবেন।ভালো ঘুমের জন্য রাতে শোওয়ার আধঘণ্টা আগে সব সব গ্যাজেট বন্ধ করে দিন। উদ্বেগ কমানোর চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে এবং দিনের বেলায় বারবার ঘুমিয়ে পড়ার প্রবণতা কমছে। এর ফলে অতিরিক্ত ঘুম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
আমাদের শেষ কথা।
গর্ভাবস্থায় বেশি ঘুমালে আপনার গর্ভে থাকা সন্তানের অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই গর্ভাবস্থায় সন্তানের সুস্বাস্থ্য জীবন নিশ্চিত করতে কখনো অতিরিক্ত ঘুমাবেন না।