পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায়
আমাদের আজকের লেখাটা হচ্ছে পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায়। এ পড়ার টেবিলে যখন আমাদের ঘুম চলে আসে তখন আমরা বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা শুনে। ফাঁকিবাজ কিংবা অমনোযোগী এরকম হাজারো শব্দ শুনতে হয়। পড়তে বসলে ঘুম আসে এটা প্রায় সবার। আজ আমরা শিখব কিভাবে পড়তে বসলে ঘুম দূর করা যায়। আরও জানব ঘুম তাড়ানোর কিছু সহজ কার্যকারী উপায়। আজকের এই টিপসগুলো বড় ছোট সবার জন্য কার্যকারী।
পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায়:পড়তে বসলে ঘুম আসার সাথে সাথে আছে এমন হাজারো বৈজ্ঞানিকের ব্যাখ্যা। আমরা যখনই পড়তে বসি তখন আমাদের চোখের উপর চাপ বেশি পড়ে। মস্তিষ্ক ডাটা প্রসেসরের কাজ করতে থাকে। তারপর কিছু সময়ের মধ্যে আমাদের মস্তিষ্ক বিদ্রোহ শুরু করে। যার ফলে চোখের পাতায় নেমে আসে ঘুম।
পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায় |
অনেকে পড়তে বসলে পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঘুমিয়ে যাই। ঘুম গেলে হয়তো একটু ভালো ঘুম হবেই। কিন্তু এই ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণে আপনি পিছিয়ে পড়বেন জীবনের অনেক কিছু থেকে। তাই এগুন কে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের আজকের টিপস আপনি মেনে চলুন। ইনশাল্লাহ আপনার অনেক উপকার হবে।
১) পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায়- প্রথমে আপনি সুন্দর একটা পড়া স্থান নির্বাচন করুন। এরপর আপনাকে অবশ্যই পড়া স্থানটি আলোকিত রাখতে হবে। বাইরের খোলা বাতাস যেন আপনার পড়ার স্থানে পানি ঢুকতে পারে এমন একটি পরে স্থান তৈরি করে নিতে হবে। এসবকিছু আপনার ঘুম কে দূর করবে।
২) যেখানে আমরা সব সময় ঘুমাতে ঘুমাতে যাই সেই স্থানগুলোতে পড়ালেখা করা যাবেনা। পড়ালেখা করার জন্য স্যার টেবিলের পড়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে চেয়ার-টেবিল দেখার সাথে সাথে মস্তিষ্কে ইচ্ছা জাগবে পড়া লেখা করার জন্য।মনে রাখবেন পড়ালেখা করার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন চেয়ার টেবিলে বসে পড়ালেখা করবেন।এতে করে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। কখনো বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়াখেখা করা যাবে না। চেয়ার টেবিল কাঠের হলে ভালো হয়।তা না হলে আরাম পেলে ঘুম তো আসবেই।
পড়ার সময় ঘুম আসে কেন
৩) বিশেষ করে রাতে পড়ালেখা করার আগে হালকা নাস্তা খেয়ে নিবেন। রাতে পড়ালেখা করার আগে কখনো ভারী খাবার খাবেন না। কেননা ভারী খাবার খাওয়ার কারনে আমাদের চোখে ঘুম চলে আসে এবং আমাদের মস্তিষ্ক অলস হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের মন বসে না এবং ঘুম চলে আসে। তাই ভারী খাবার থেকে বিরত থাকুন সবাই।
৪) পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায়- রাতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে গেলে এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস থাকলে তাহলে রাতে পড়ার সময় আপনার চোখে তেমনটা ঘুম আসবে না। তাই শিশুগুলোকে সেভাবে গড়ে তুলুন।তাহলে একটা শিশুর জীবনে পড়ালেখার ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তাই সবার জন্য উচিত বেশি রাত না ঘুমিয়ে থাকা। আর প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুমিয়ে যাওয়া।তাহলে রাতে পড়ার সময় আর ঘুম আসবে না।
৫) পড়ার টেবিলের পড়ালেখা করার সময়ে 500 মিলি পানি পান করুন। এতে করে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে এবং পড়ালেখা বুঝতে মনে রাখতে এটি অনেক সাহায্য করবে। যার ফলে মস্তিষ্ক থেকে ঘুমের ভাবটা কমে যাবে।আপনি চাইলে ঠান্ডা পানিতে রুমাল ভিজিয়ে রাখতে পারেন।যখন আপনার ঘুম আসবে ঠিক ঠান্ডা পানিতে থাকা রুমালটা দিয়ে চোখ মুছিয়ে নেন।তারপর দেখবেন ঘুম জানালা দিয়ে পালিয়ে গেছে।
পড়ার সময় ঘুম আসলে করণীয়
৬) পড়ার সময় 30 মিনিটের মাঝে 5 মিনিটের একটা বিরতি দেওয়া খুবই জরুরী। এ 5 মিনিট বিরতির মাঝে গান শুনুন।এতে করে আপনার পড়ার প্রতি আরও মনোবল বাড়তে থাকবে।
৭) আওয়াজ করে পড়ালেখা করলে ভালো হয়। মনে মনে পড়ার অভ্যাস থাকলে পড়ার পর তা লিখে ফেলুন। পড়া লেখার মাঝে তন্দ্রভাব কাটাতে আদা দিয়ে চা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৮) পরতে পরতে একপর্যায়ে যখন আপনার ঘুম আসবে তখন আপনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে থাকেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ার কারণে তখন আর ঘুম আসবে না।তবে কিন্তু হেঁটে হেঁটে পড়া যাবে না। শুধু আপনার যখন ঘুম তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়বেন।
৯) একা একা পড়া যাবে না। আমরা যখন একা একা একা রুমে পড়ি তখন কেউ দেখেনা। আমরা পড়ি নাকি ঘুমায়।তাই আমরা একা একা পড়তে ঘুমিয়ে যায়।পড়তে বসে আপনার যখন ঘুম আসবে আপনার মা-বাবার দেখতে পাচ্ছে এমন জায়গাগুলোতে পড়তে বসেন।
আমাদের শেষ কথা
শিক্ষাজীবনে আপনাকে অবশ্যই পড়ালেখা বেশি করে করতে হবে। অনেকে পড়তে বসলে ঘুমিয়ে যায়। যার ফলে পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয়।আপনার যদি না পড়ে ঘুমিয়ে যান তাহলে আপনি জীবনের অনেক কিছু থেকে পিছিয়ে পড়বেন।
আমাদের দেওয়া এই টিপসগুলো আপনি ফলো করলে আপনার অনেক বেশি উপকার হবে। আমাদের এই পোষ্টটি শেয়ার করে আপনার ছোট ভাই বোন বা বন্ধুদের পদ্ধতি গুলো ঘুম তাড়াতে সাহায্য করুন। কোথায়ও যদি ভুল হয় ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লা হাফেজ।