চোখ চুলকালে করণীয়-চোখের চুলকানি দূর করার উপায়
সূচনা -আমাদের আজকে লেখাটিও হচ্ছে চোখ চুলকালে করণীয়। আপনার যদি চোখ চুলকায় তাহলে আজকের লিখাটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই পোষ্টটা মনেযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
চোখ কেন চুলায়
পরিবেশ দূষণের কারণে বাহিরে ধুলাবালির কারণে চোখ চুলকায় বা চোখ জ্বালাপোড়া করে। এ সমস্যাটি অনেকের আছে।
অনেকে আবার হাত দিয়ে চোখ ঘষাঘষি করে। যারা এমনটা করে তাদের চোখ চুলকানোর সমস্যাটা আরও বেড়ে যায় বাড়তে থাকে।
চোখ চুলকানির মিন সমস্যাটি হচ্ছে বাহিরে ধুলাবালির কারণে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
চোখ চুলকালে করণীয় |
চোখ চুলকালে করণীয় যেমনি আছে ডাক্তারি উপায় তেমনি আছে ঘরোয়া উপায়।আপনার চোখ চুলকায় এটা নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করার কিছু নেই।আপনার যদি চোখ চুলানোর সমস্যাটি যদি থেকে থাকলে তাহলে আপনি নিজে নিজে সমস্যাটি দূর করতে পারবেন।তাহলে জেনে নেওয়া হউক কিভাবে এই সমস্যাটি দূর করবেন।
চোখের চুলকানি দূর করার উপায়
শসা - শসা দূর করবে আপনার চোখ চুলকানোর সমস্যাটি এবং চোখের জ্বালাপোড়া। কারণ শসাতে আছে অ্যান্টি ইরিটেশন প্রোপার্টিজ যা চোখের জ্বালাপোড়া, চোখের চুলকানি এবং চোখের ফোলা ভাব দূর করে।
চোখের এই সমস্যা গুলো দেখা দিলেন তখন কি করবেন। প্রথমে আপনি একটি শসা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। এরপরে শসাটিকে গোল করে কেটে ফেলুন পাতলা করে। তারপরে কেটে ফেলা শসা গুলোকে ফ্রিজে রাখুন 20 মিনিট।শসা গুলো যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখনই ফ্রিজ থেকে বের করে চোখের উপর শসা দিয়ে 10 মিনিট রাখুন।
দিনে তিন থেকে চার যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন।
ঠান্ডা দুধ -ঠান্ডার দুধের মাধ্যমে চোখের চুলকানি দূর করা যায়।যেমন ঠান্ডা দুধে এক টুকরা পরিষ্কার তুলার প্যাড বা বল ভিজিয়ে চোখের চারপাশে হালকা ভাবে ঘষে নিতে হবে।আর ভিজে পেলা প্যাডটি চোখের উপর দিয়ে রাখতে হবে।এই ভাবে যদি করেন চোখ ঠান্ডা হবে এবং চোখোর চুলকানি সহজে দূর হয়ে যাবে।তাই চোখোর চুলকানি দূর করতে আপনি এটি সকাল- বিকাল দই বেলা করে আপনি করতে পারেন।
গোলাপজল- চোখের এমন সমস্যাটি দূর করতে গোলাপজলের পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গোলাপজলের পানিটা চোখের চুলকানি চোখের জ্বালাপোড়া এবং চোখ পরিষ্কার রাখে। তাই দিনে দুই বার করে গোলাপজল ব্যবহার করে চোখ পরিষ্কার রাখতে পারেন।
যখনি আপনার চোখ চুলকানি শুরু তখনি আপনি ড্রেপ হিসাবে চোখে ব্যবহার করেন গোলাপজল।তাৎক্ষণিক আপনার যে চোখে চুলকানি শুরু হবে সেই চোখে দুই ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে দেন।তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
লবণ পানি- চোখের জন্য অনেক বেশি উপকারি।কারণ লবণ পানিতে আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল শক্তি।যা সকল জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে। লবণ পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করলে চোখে জমে থাকা সব জীবাণু চলে যায়।যার ফলে চোখ আর চুলকায় না।
এক কাপ বিশুদ্ধ সাথে এক চামচ লবণ দিয়ে পানিটা গরম করে নেন।তারপরে পানিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এই নিয়মটি দিনে দুইবার করতে পারেন।
গ্রিন টি- গ্রিন টি খুবই উপকারি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য।চোখের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য গ্রিন টি ব্যবহার করুন।
চোখ পরিষ্কার করার জন্য এক পানিতে দুইটি গ্রিন টি দিয়ে পানি গরম করে নেন।তারপরে পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি দিনে দুই করতে পারেন।
মৃত কুমারী বা অ্যালোভেরা- মৃত কুমারী ত্বক উজ্জ্বল এবং আর্দ্র রাখতে অনেক উপকারি।শুষ্ক ত্বক, ত্বকের ফোলাভাব এবং ত্বকের চুলকানি কমায় এই উপাদানটি।
এক কাপ মধুর সাথে অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে অ্যালোভেরা জেল বের করে মিশিয়ে এবং তার সঙ্গে আরো আধা কাপ এল্ডারবেরি ব্লসম টি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
যতদিন না এই সমস্যাটি যাচ্ছে না তখন এই মিশ্রণটি বানিয়ে ব্যবহার করতে থাকুন। দিনে দুই বার মিশ্রণটি দিয়ে চোখ পরিষ্কার রাখুন।এতে অতি সহজে চোখ চুলকানি দূর হয়ে যাবে।
আলু- আলু দূর করবে চোখের চুলকানি। কারণ আলুতে আছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট উপাদান। আর এই উপাদান পারে চোখের চুলকানি সমস্যাটি দূর করতে।
পথমে একটি আলু পরিষ্কার করে ধুয়ে গোল গোল কেটে নিয়ে ফ্রিজে রাখুন ১৫-২০ মিনিটের জন্য।তারপরে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা আলুগুলো নিয়ে ১০-১৫ মিনিট চোখের উপরে রাখুন।
রাতে ঘুমানো যাওয়া আগে এই উপাদানটি এক ব্যবহার করে নিতে পারেন।তাহলে চোখের চুলকানি কমে যাবে।
যদি আপনার চোখ অল্প চুলকায় তাহলে আপনি ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার এক টুকরা কাপড় দিয়ে চোখ মুছে নিতে পারেন।
যদি আপনার চোখের ভিতরে কোনো কিছু ঢোকার কারণে চুলকায় তাহলে স্যালাইন জল অথবা হালকা গরম পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
বাড়ির দরজা জানালা এবং গাড়ির দরজা সবসময় বন্ধ রাখবেন।তা না হলে বাহিরের ধুলাবালির আপনার চোখে আসবে।এর পরে আপনার চোখ চুলকাতে শুরু করবে।বেশি বেশি পানি খাবেন।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের দেওয়া এসব তথ্য গুলো আপনি প্রয়োগ করেন তাহলে অতি সহজে আপনার চোখের চুলকানি বন্ধ হয়ে যাবে।এসব করার পর যদি আপনার কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে আপনি অতি দ্রুত চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়ে চোখ দেখাবেন।এই হল আমাদের আজকের লিখাটি।সবাই ভালো থাকবেন আল্লা হাফেজ।