পড়ালেখা করার ৫টি কার্যকরী নিয়ম।
পড়ালেখা মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। এটা অর্জন করতে না পারলে জীবন সুন্দর হয় না।শিক্ষা হচ্ছে জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা না থাকলে জ্ঞান হীন মানুষ পশুর সমান।একটা জাতির সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো শিক্ষা।
১) পড়ালেখা সঠিক নিয়মে করার উপায়।
জীবনকে সঠিক ভাবে উপলব্ধি করতে হলে পড়ালেখা অবশ্যই করতে হবে।যা তোমাকে একটা ভালো মানুষে পরিণত করবে।পড়ালেখা বাদ দিয়ে জীবনে বড় কিছু
করা যাবে না।যদি তুমি বড় বড় সফলতা অর্জন করতে চাও তাহলে পড়ালেখা সঠিক নিয়মে কর। জীবনে ভালো কিছু পেতে হলে ভালো করে পড়ালেখা করতে হবে।আর যদি পড়ালেখা যদি ভালো না করলে জীবনে
ভালো কিছু হওয়া যাবে ও না।আমরা সবসময় চিন্তা করি পড়ালেখা কিভাবে করলে ভালো হবে।কিভাবে পড়ব? কি করব? দেখা গেলেো অনেক সময় ভালোভাবেই পড়ালেখা করে ও পরীক্ষার রেজাল্ট
খারাপ হয়।এর মূল কারণ হলো সঠিক নিময়ে না পড়ার কারণে।আজ আমরা জানব কিভাবে পড়ালেখা করলে ভালো হবে। তাহলে জেনে নিন কিভাবে পড়ালেখা
করতে হবে।আমরা অনেকে মনে করি বেশি পড়লে ভালো পড়া এটায় কিন্তু সঠিক কথা নয়।আবার অনেকে মনে করেন বেশি পড়লে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা যাবে এটায়ও ভুল ধারণা।
পড়াশোনা করার রুটিন
সত্যি কথা হলো পড়া বুঝে বুঝে পড়াটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিভাবে পড়ালেখা সঠিক নিয়মে ও ভালো ভাবে করা যাই সে বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস দেওয়া হলো নিচে।
ভালো পড়ালেখা করার নিয়ম
২) এক নাগারে বেশি সময় ধরে পড়ালেখা না করা।
আমরা অনেক ছাত্রছাত্রীদেরকে দেখি তারা একটানা অনেক বেশি সময় ধরে পড়ালেখা করে।এটা কিন্তু
সঠিক নয়।একটানা বেশি সময় ধরে পড়লে পড়ালেখা মস্তিষ্কে তেমন কার্যকর করে না।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা ২০-২৫ মিনিট পর হ্রাস পেতে থাকে।তাই একটানা বই
পড়া যাবে না। যাদের একটানা বই পড়ার অভ্যস্ত আছেন তারা এমন অভ্যাসটা আজ থেকে ছেড়ে দেন।
পড়ার সময়ে ২০-২৫ মিনিট পর পর ৫-১০ মিনিট বিরতি নিতে হবে।এটা সবার জন্য কার্যকরী একটা
নিয়ম।বিরতির সময় যেকোনো কিছু সতেজ হয়ে আবার পড়া শুরু করতে হবে।এতে দেখা অনেক সহজে পড়া মাথায় দ্রুত ঢুকে গেছে।এটা পড়ালেখার জন্য কার্যকরী নিয়ম।বিরতির সময়ে গান শুনা,হাঁটাহাঁটি করা,ফেসবুকিং ইত্যাদি করা যাবে।
৩) মুখস্ত না করে সবসময় বুঝে নিয়ে বুঝে বুঝে পড়া।
আমাদের দেশে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা না বুঝে বিভিন্ন বিষয়ে পড়া মুখস্ত করে পেলে।ফলে এই মুখস্ত বিদ্যা
মস্তিষ্কে বেশি দিন ধারণ থাকে না।যারা না বুঝে পড়ালেখা মুখস্ত করেন তাদেরকে বলছি আজ থেকে এমন অভ্যাসটা ছেড়ে দিন।না বুঝে পড়ালেখা মুখস্ত করলে জীবনে কোনো লাভ হবে না।কোনো কিছু বুঝে
পড়লে সেটা লাভ হবে এবং সেটাকে কাজে লাগানো যায়।না বুঝলে তা কখনো কোনোদিন সম্ভব হবে না।
যে পড়া কোনো কাজে আসবে না পড়া পড়ে কোনো
লাভ নেই।তাই বলছি মুখস্ত না করে সবসময় বুঝে বুঝে পড়েন।কিছু না বুঝলে আমাদের কাছে থাকা বড় ভাই বড় বোন,শিক্ষকদের কাজ থেকে বুঝে নিতে হবে।এটা ভালো পড়ালেখা করার আরেকটা কার্যকরী নিয়ম।
৪) প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করা।
শিক্ষক আমাদেরকে প্রতিদিন পড়া শিখার জন্য দেয়।অথবা আনাদের যেকোনো পাঠ পড়া দরকার। তখন
আমরা আজকে পড়ব বা কালকে পড়ব এমন করে থাকি।পড়ব পড়ব করে আর পড়া হয় না।সত্যি বলতে এমন করা কখনো যাবে না।পরে আমাদের পরীক্ষার
জন্য চিন্তা হয় এবং পরীক্ষা অনেক খারাপ হয়ে যায়।আমাদের সবার উচিত প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করা।আজকের পড়া আজকে শেষ করতে হবে।পড়া বাকি রাখা যাবে না।নিয়ামিত পড়ালেখা করা আর প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শিখা একজন ভালো শিক্ষার্থীর বৈশিষ্ট।
৫) অন্যকে শিখাও
যতটুকু আমরা নিজেরা শিখতে পারি তার ১০ গুণ আমরা শিখতে পারব অন্যকে পড়িয়ে।এটা আমার বাস্তব জীবন থেকে বলছি।নিজের শিখার পাশাপাশি
অন্যকে শিখালে অনেক বেশি ভালো হবে জীবনের জন্য।অন্যকে শিখানোর জন্য টিউশন করাতে পারো এটা তোমাকে অনেক সহায়তা করবে।মেধাশক্তি বৃদ্ধি করবে।অন্যকে শিক্ষা দিলে মেধা কমে না বরং মেধা আরো বেশি বেড়ে যায়।
আমাদের শেষ কথা।
বিজ্ঞানকে যেমন বাদ দিয়ে এক মুহূর্ত পরিকল্পনা করা যায় না তেমনি করে পড়ালেখা বাদ দিয়ে জীবনকে এক মুহূর্তের জন্যও পরিকল্পনা করা যায়।আমাদের
দেওয়া তথ্য গুলো আপনি মেনে চলতে পারেন। দেখবেন আপনার পড়ালেখার জীবনে কিছুটা হলে পরিবর্তন আসবে।সঠিক কিছু না জানা থাকার কারণে অনেক সময় কঠিন পরিশ্রম করে ও ভালো কিছু পাওয়া যায় না।তার জন্য কৌশল এর প্রয়োজন হয়।তাই বলছি পড়ালেখা ভালো করার জন্য আমাদের দেওয়া তথ্য
মেনে চললে সত্যি আপনাদের জীবনে পরিবর্তন আসবে। পৃথিবীর সবকিছু একটা নিয়মের মাধ্যমে চলে। তাই পড়ালেখা করতে গেলেও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমার লেখায় কোথায় ও ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।আমার লেখা যদি আপনার কাছে ভালো তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
লিখাটা পরে অনেক কিছু শিখতে পারলাম ধন্যবাদ
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট
উত্তরমুছুন