মোবাইলে ক্রোম ব্রাউজারটি থাকলে এ ৩টি সেটিং অব্যশই করুন।

গুগল ক্রোমের জনপ্রিয় তিনটি ফিচারস

গুগল ক্রোম এখনকার সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারনেট ব্রাউজার। উইন্ডোস হোক কিংবা অ্যান্ড্রয়েড অন্য যে কোন প্লাটফর্ম সব জায়গাতেই আমরা গুগল ক্রোম ব্যবহার করি। কিন্তু গুগল ক্রোমের ফুল পটেনশিয়াল আমরা সবাই ইউজ করতে পারিনা। কারন, গুগল ক্রোমের অনেক ফিচারস আছে অনেক টিপস-এন্ড-ট্রিকস আছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নয়।

আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে গুগল ক্রোমের ৩টি ফিচারস এবং হিডেন টিপস এন্ড ট্রিকস শেয়ার করব। যেগুলো জানার পরে ইন্টার্নেট ব্রাউজিং টা আরো বেশি উপভোগী হয়ে যাবে। আর গুগল ক্রোমের ফুল পটেনশিয়ালটা আপনি ইউজ করতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের আলোচনা লিস্টের প্রথম ফিচারসটি হচ্ছে… 

ট্যাব গ্রুপিং

অনেকেই আছে দেখবেন একসাথে পঞ্চাশ-ষাটটি ট্যাব ওপেন করে নেট ব্রাউজিং করছে। তখন ট্যাব গুলো অনেক ছোট হয়ে যায়। ট্যাব চেঞ্জ করতে গিয়ে ভুলে ক্রক্স এ টাচ লেগে অনেক ট্যাব ডিলিট হয়ে যায়।

আবার দেখতেও ট্যাবগুলো অত ভালো লাগে না। এবং খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট হয়। এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে আপনি চাইলে ট্যাব গুলোকে আলাদা আলাদা করে গ্রুপ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ার পাঁচটি ট্যাব ওপেন করেন। এবং এ পাঁচটি ট্যাব কে একসাথে সোশ্যাল মিডিয়া নাম দিয়ে একটা গ্রুপ করতে পারেন। এতে করে আপনার ট্যাবের পরিমাণ কমে যাবে এবং আপনি খুব সহজে অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

গ্রুপ করার জন্য, যে কোন ট্যাবের অ্যাড বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে দেখবেন একটা অপশন আছে অ্যাড ট্যাব টু গ্রুপ। আপনি চাইলে তখন নতুন গ্রুপ ক্রিয়েট করতে পারেন এবং সেই গ্রুপের একটা নাম দিতে পারেন। এবং আপনি চাইলে সে গ্রুপকে আলাদা করে একটা কালার দিতে পারেন। এতে করে আপনার গ্রুপগুলো চিনতে সুবিধা হতে পারে। এভাবে কালার এবং নাম দিয়ে দিলে একটা গ্রুপ অপেন হয়ে যাবে।

এবার আপনি চাইলে গ্রুপ নামের উপরে ক্লিক করতে পারেন। এতে করে গ্রুপটি মিনিমাইজ হবে আবার ওপেন হবে এবং আপনি খুব সহজে ব্রাউজিং করতে পারবেন। এবং আপনার অনেক সময় বেচে যাবে। আশা করি এই সেটিংটি আপনার অনেক বেশি উপকার আসবে।

টেক্সট হাইড

দ্বিতীয় পদ্ধতিটা হচ্ছে যেকোনো টেক্স কে হাইড করে কারো কাছে পাঠান। উদাহরণস্বরূপঃ- একটা আর্টিকেল এর কোন নির্দিষ্ট অংশ কাউকে পড়তে বলছেন। কিন্তু আসলে আপনি তাকে বোঝাতে পারতেছেন না সে আর্টিকেলের নির্দিষ্ট কোন পাঠটা পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে আপনি চাইলে তার কাছে আর্টিকেলের নির্দিষ্ট অংশটুকু হাইলাইট করে পাঠাতে পারেন।

সেটা করার জন্য আর্টিকেলে নির্দিষ্ট অংশটুকু মার্ক করুন। তারপর রাইট বাটনে ক্লিক করে কপি লিংক টু হাইলাইট নামে একটা অপশন আছে ওখানে ক্লিক করুন। তাহলে একটা নতুন লিংক ক্লিপবোর্ডে এড হয়ে যাবে। এবার যেকোনো জায়গায় আপনি লিংকটা পেস্ট করে যে কাউকে পাঠাতে পারবেন। 

এত করে যখন কোন ইউজার আপনার দেওয়া লিঙ্কটা তে ক্লিক করবে তখন তার সামনে আর্টিকেল এর নির্দিষ্ট অংশটুকু হাইলাইট হয়ে যাবে। আপনি চাইলে গুগল ক্রোমের এই ফিচারটা ইউজ করা অনেক বেশি উপকৃত হতে পারেন।

সিনক্রোনাইজেশন

তিন নম্বর ফিচারস অনেকে হয়তো ইউজ করেন এবং এটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। সেটা হল সিনক্রোনাইজেশন। গুগলের এই সিস্টেমটি ব্যবহার করে আপনি চাইলে তাদের জিমেইল ব্যবহার করে যে কোন ডিভাইসে আপনার সেভ করা ডাটা পাসওয়ার্ড ডকুমেন্ট সবকিছু অন্য ডিভাইসে ট্রানস্ফার করতে পারেন। 

সেটা করার জন্য আপনি যে জিমেইল এ সকল ডকুমেন্ট, বুকমার্ক, ফেভারিট লিস্ট, ট্যাব, নেট ব্রাউজিং ইত্যাদি পেতে চান সেম একই জিমেইল দিয়ে অন্য মোবাইলের ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে লগইন করুন। এতে করে গুগলের সিনক্রোনাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি অন্য ডিভাইস ইউজ করা সকল ডকুমেন্ট নতুন ডিভাইস এ খুঁজে পেতে পারেন।